টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের মধুপুরে শেফালী বেগম (৪৫) নামের এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় আজ মঙ্গলবার সকালে গৃহবধূর স্বামী, সতিন ও সন্তানসহ বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গোলাবাড়ী ইউনিয়নের লোকদেও গ্রামের গোলাপ হোসেন বিভিন্ন এলাকায় ১০-১২টি বিয়ে করেছেন। তার প্রথম স্ত্রী হাসনা বেগম (৪৮) ও পঞ্চম স্ত্রী শেফালী বেগম পাশাপাশি থাকতেন। এক সপ্তাহ আগে গোলাপ হোসেন পারিবারিক কলহের জেরে প্রথম স্ত্রী হাসনা বেগমকে তালাক দেন। পরে স্থানীয় মাতব্বরদের উপস্থিতিতে করা সালিসে প্রথম স্ত্রীর সব পাওনা পরিশোধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রথম স্ত্রী হাসনা বেগমের একটি ঘর পাঁচ হাজারে বিক্রি করে টাকা দিতে বলা হয়। পঞ্চম স্ত্রী শেফালী বেগম ওই ঘরটি কিনে রাখতে চান। এতে প্রথম স্ত্রী হাসনা বেগম রাজি না হওয়ায় গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় দুই সতিনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে হাসনা শেফালীকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। পরে হাসনা বেগম ও তার ছেলে হাসান (২৫) বাড়ি থেকে বেড়িয়ে ওই দিন রাতে প্রতিবেশীর বাড়িতে থাকেন।
আজ সকালে গোলাপ হোসেনকে বাড়িতে ডাকতে যান হাসনা বেগমের ছেলে হাসান। এতে শেফালী বেগমের ক্ষতবিক্ষত লাশের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় বসে থাকতে দেখেন গোলাপকে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে।
ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বাবলু বলেন, গোলাপ হোসেন ১০-১২টি বিয়ে করেছেন। এলাকায় ‘বিয়ে পাগল’ বলে গোলাপ হোসেনের পরিচিতি রয়েছে। তিনি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান। শেফালীর লাশ এখন পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
মধুপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুরাদ হাসান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ওসি আরও বলেন, ওই হত্যার ঘটনায় স্বামী গোলাপ হোসেন, বড় সতিন হাসনা বেগম ও তার ছেলে হাসানসহ কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।