মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ফিফার শেষ প্রীতি ম্যাচে রোববার (২৬ জুন) গোলশূন্য ড্র করেছে। প্রথম ম্যাচে মালয়েশিয়ার জালে গোলউৎসব করলেও এদিন জালের দেখা পেলেন না আঁখি, সাবিনারা। কমলাপুরে বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে আধিপত্য দেখালেও পরিষ্কার গোলের পর্যাপ্ত সুযোগ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ
প্রথম ম্যাচে ৬-০ গোলে জয় পাওয়া বাংলাদেশ এ ম্যাচেও জয়ের জন্যই মাঠে নেমেছিলও। কিন্তু এদিন ঘুরে দাঁড়িয়ে সমানে লড়েছে মালয়েশিয়ার মেয়েরা। তাতে ম্যাচে গোলের দেখা পেল না কেউই। গোলশূন্য ড্রতে ২ ম্যাচের ফ্রেন্ডলি সিরিজ ১-০ ব্যবধানে জয় করল বাংলাদেশ।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ঢের এগিয়ে থাকা মালয়েশিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে দারুণ ফুটবল খেলেছিলেন আঁখি, সাবিনা, সানজিদা, মনিকারা। ৮৫তম স্থানে থাকা মালয়েশিয়াকে প্রথমার্ধেই ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুবার সফরকারীদের জালে বল জড়ায় র্যাঙ্কিংয়ের ১৪৬তম স্থানে থাকা বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ম্যাচেও গোল উৎসবের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাবিনা ও কোচ ছোটন। বলেছিলেন লাল সবুজের মেয়েরা সমর্থকদের উপহার দেবেন গোছানো ফুটবল। ম্যাচের আগে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা বলেন, ‘আমাদের সিনিয়র দল ভালো রেজাল্ট করছে। ঘরের মাটিতে সফলতা আসবে, এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় পাওয়া। আমার এখন গোল করা থেকে গোল করাতে বেশি ভালো লাগে। আমরা চাই যদি গোল ১০টা দেয়া যায় তাহলে দশটাই দেব।’
কিন্তু মাঠের খেলায় এদিন প্রত্যাশামাফিক ফুটবল খেলতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। বেশিরভাগ সময় তাই বল মাঝমাঠেই থাকল। থেকে থেকে অবশ্য কড়া রকমের ফাউল করেছে দুদলই। তাতে স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে আসা দর্শকদের মন ভরার কথাও নয়। ম্যাচের আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, এই ম্যাচ দেখতে আসা দর্শকদের টিকেট থেকে প্রাপ্ত আয়, দেশে চলমান বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজে দান করা হবে।