পদ্মা সেতুতে যানবাহন থেকে নামলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ছাড়া টহল জোরদারে সেতুর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীকে সেতু কর্তৃপক্ষ চিঠি দিয়েছে। সোমবার (২৭ জুন) থেকে এটি কার্যকর হবে।
রোববার (২৬ জুন) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই তথ্য জানান শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) উম্মে হাবিবা ফারজানা।
তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নির্বাহী ক্ষমতাবলে জাজিরা প্রান্তে পরিদর্শন করতে এলাম। সাধারণ মানুষ সেতুতে উঠে ছবি, সেলফি তুললে কিংবা পদ্মা সেতুর ওপর বসলেই জরিমানা করা হবে। আমরা প্রথম দিনেই দেখছি সাধারণ মানুষ সেতু পার হতে গিয়ে ছবি তুলছেন। আজ প্রথম দিন শিথিল থাকলেও আগামীকাল (সোমবার) থেকেই কঠোর ব্যবস্থা নেব আমরা।’
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে উম্মে হাবিবা ফারজানা বলেন, যেসব বাইকচালক নির্ধারিত গতির চেয়ে বেশি গতিতে বাইক চালাবেন, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার এক গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পদ্মা সেতু পাড়ি দেয়ার সময় সেতুর ওপর কোনো যানবাহন থামানো যাবে না। গাড়ি থেকে নেমে ছবি তোলা বা হাঁটাহাঁটি করা যাবে না।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, পদ্মা সেতু পাড়ি দেয়ার সময় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চালানো যাবে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে: পদ্মা সেতুর ওপর অনুমোদিত গতিসীমা প্রতি ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। পদ্মা সেতুর ওপর যেকোনো ধরনের যানবাহন দাঁড়ানো নিষেধ। যানবাহন থেকে নেমে সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে ছবি তোলা ও হাঁটা সম্পূর্ণ নিষেধ। তিন চাকাবিশিষ্ট যানবাহন (রিকশা, ভ্যান, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ইত্যাদি), হেঁটে, সাইকেল বা অযান্ত্রিক যানবাহন নিয়ে সেতু পারাপার হওয়া যাবে না। গাড়ির বডির চেয়ে বেশি চওড়া এবং ৫ দশমিক ৭ মিটারের চেয়ে বেশি উচ্চতার মালামালসহ যানবাহন সেতুর ওপর দিয়ে পারাপার করা যাবে না। সেতুর ওপর কোনো ধরনের ময়লা ফেলা যাবে না।