বাংলাদেশের জন্য দিনটিকে হতাশাজনক করে দিলেন কাইল মায়ার্স। বোলাররা যে সাফল্য কুড়িয়েছিলেন, সেটা নস্যাৎ করে সেন্ট লুসিয়া টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছেন। তার সেঞ্চুরির সুবাদে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে তাদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৩৪০ রান। ফলে তারা এখনই ১০৬ রানে এগিয়ে গেছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ২৩৪ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল।
মায়ার্স ১৮০ বলে ১২৬ রানে অপরাজিত আছেন, তার সঙ্গী হিসেবে জসুয়া আছেন ১০৬ বলে ২৬ রানে। এ নিয়েই আজ রোববার তারা নতুন করে শুরু করবেন।
সাদা পোশাকে প্রতিপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশকে পেলেই যেন জ্বলে ওঠে মায়ার্সের ব্যাট। টাইগারদের বিপক্ষে লাল বলে নিজের অভিষেক ম্যাচে ২১০ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলে ক্যারিবিয়দের নাটকীয় জয় উপহার দেন এই বাঁহাতি। ১৩ টেস্টের ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় শতকটাও পেলেন বাংলাদেশের বিপক্ষেই, যখন দলের হয়ে দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করাটা প্রয়োজন ছিল তার।
৪ উইকেটে হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ২৪৮ রান নিয়ে চা বিরতিতে যায় উইন্ডিজ। ১৪ রানের লিড বাড়িয়ে নিতে মায়ার্স ৮৬ বলে ৬০ এবং ব্ল্যাকউড ১১৭ বলে ৪০ রান নিয়ে দিনের তৃতীয় ও শেষ সেশনের খেলা শুরু করেন। তবে সেশনের শুরুতেই স্বাগতিকদের চেপে ধরেন বাংলাদেশ দলের দুই স্পিনার সাকিব আল হাসান আর মেহেদী হাসান মিরাজ।
দ্বিতীয় ওভারে ব্ল্যাকউডকে ফরিয়ে শতরানের জুটি ভাঙেন মিরাজ। এই অফ স্পিনারের বলটি কুইকার পিচড হয়ে হালকা মুভ করে। আড়াআড়িভাবে খেলতে চেয়েছিলেন ব্ল্যাকউড। কিন্তু বল ব্যাট মিস করে লাগে পায়ে। জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। সঙ্গে সঙ্গেই রিভিউ নেন ব্ল্যাকউড। কিন্তু সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন আম্পায়ার। ১২১ বলে ৪১ রান করেন ব্ল্যাকউড। এতে ভাঙে ১১৬ রানের জুটি।
সেই চাপ অব্যাহত রাখেন দুই স্পিনার। পার্টনারশিপে গড়ে টানা ১২ ওভার বল করেন সাকিব-মিরাজ। ফিল্ডিং দল চাইলে ইনিংসের ৮০ ওভারে নতুন বল নেওয়ার নিয়ম থাকলেও ২ ওভার পর সেই বল নেন সাকিব। নতুন বল হাতে নিয়েও দুই স্পিনার দুই প্রান্ত থেকে ২ ওভার হাত ঘোরান। যেখানে ১২ ওভার বল করে ১০ রানে নেন ১ উইকেট।
পরে একপাশে সাকিবের পরিবর্তে পেসার শরিফুল ইসলামকে আক্রমণে আনা হয়। তবে অন্য প্রান্তে নিজের দায়িত্ব পালন করে যান মিরাজ। কিন্তু নতুন বল নিয়ে ফায়দা তুলতে পারেনি বাংলাদেশ দল। বরং সময়ের সঙ্গে আরও আগ্রাসী হয়েছেন মায়ার্স। ১৫০ বলে তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। অন্যপ্রান্তে দেখেশুনে খেলে মায়ার্সকে সঙ্গ দেন জসুয়া। গোটা সেশনে দলকে আর বিপদে পড়তে দেননি তারা।
এই সেশনে ১ উইকেট হারিয়ে উইন্ডিজ তুলেছে ১৩০ রান। সব মিলিয়ে ৫ উইকেট খুইয়ে তাদের সংগ্রহ ৩৪০ রান। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে ১০৬ রানে লিড নিয়েছে স্বাগতিকরা।