ঢাকা সিটি উত্তরের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল তার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। আজ বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর শিল্পাঞ্চলে নিজের নির্বাচনী কার্যালয়ে আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে তিনি এ ইশতেহার ঘোষণা করেন। ঘোষিত ইশতেহারের ১২ টি বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এগুলো হলো- খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা, যানজট নিরসন, নগর পরিবেশ ব্যবস্থাপনা, টেকসই উন্নয়ন, সামাজিক উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা, চিত্তবিনোদন ও জনস্বাস্থ্য, ডিজিটাল সেবা, জননিরাপত্তা, প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলা, ও নগর প্রশাসন। ইশতেহার ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও তাবিথ আউয়ালের প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী ব্যারিষ্টার মওদূদ আহমেদ, আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমদ, সদস্য সচিব প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, প্রবীণ শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মাহবুবুল্লাহ, সাংবাদিক মাহফুজুল্লাহ, আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য আবদুল হাই সিকদার, জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়া পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তাবিথ আউয়ালের মা শিল্পোদ্যক্তা নাসরিন আউয়াল, শ্বশুর ব্যবসায়ী ইস্কান্দার আলী, ছোট ভাই তাফসির আউয়াল প্রমুখ। তাবিথ আউয়াল বলেন, তিনি মেয়র নির্বাচিত হলে প্রথম কাজ হবে সিটি গর্ভনমেন্ট প্রতিষ্ঠা করা। তিনি বলেন এক্ষেত্রে অন্যান্য সিটি মেয়রদের সঙ্গে নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে সিটি গর্ভনমেন্ট আদায় করবো। ইশতেহার পেশ করার পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা সিটির সাবেক মেয়ররা এ ব্যাপারে ব্যর্থ হলেও তাদের প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানান তাবিথ। তিনি আরও বলেন, আমি মেয়র নির্বাচিত হলে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গির বাইরে গিয়ে সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করবো। ২৮ তারিখে আমাদের গণজোয়ার দেখে সরকার সহযোগিতা করতে বাধ্য হবে বলেও উল্লেখ করেন। সিটি করপোরেশনের বাজেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ আয় বাড়ানো হবে। সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তরুন এই মেয়র প্রার্থী বলেন, ঢাকা উত্তরের নাগরিক সমাজকে বিচ্ছিন্ন নয় বরং উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত এবং অতি দরিদ্ররাও যাতে বসবাসের সমান সুযোগ-সুবিধা পান সে ব্যবস্থা করবো। তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের অন্যান্য তরুন নাগরিকদের মতো তিনিও বিভিন্ন অনিয়ম দেখে এবং বিশৃঙ্খলার মধ্যে কষ্ট নিয়ে বেড়ে উঠেছেন। তাই স্বপ্ন দেখেন একটি স্বচ্ছ জবাবদিহিমূলক এবং সকল প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত কার্যক্রমের মাধ্যমে একটি সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন নগরীর।