রামপুরায় একই পরিবারের ৩ জনসহ নিহত ১২

Slider জাতীয়

71645_R-12

রামপুরা, হাজীপাড়া থেকে: রামপুরার হাজীপাড়া নতুন রাস্তার বউ বাজার এলাকায় টিনশেড ঘর দেবে যাওয়ার ঘটনায় একই পরিবারের ৩জনসহ ১২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এখনো ২০ জনের মতো নিখোঁজ রয়েছে বলে স্থানীয়রা দাবি করছেন। ফায়ারসার্ভিসের কর্মী ও ডুবুরিরা উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন।

নিহতরা হলেন, বরগুনার নিজাম (৪৭), তার স্ত্রী কল্পনা বেগম (৪২), ছেলে সবুজের বউ রোকসানা (২২), রিকশাচালক মিজানুর রহমান (৩০), স্থানীয় মুদি দোকানদার বরিশালের হারুণ অর রশিদ (৫৬), খলিলুর রহমানের ছোট ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৪), ঝালকাঠীর মাসুদের স্ত্রী সাজিদা (১৯) ফারজানা (৯) জাকির(৪০) জোস্না বেগম (৪০) ও রুনা (১৪) ও অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি।

ডিএমপির মতিঝিল জোনের এডিসি মো. ফরিদ উদ্দিন ১২ জন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন।

ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপ পরিচালক এবিএম নুরুল হক জানান, উদ্ধার তৎপরতায় তাদের ৭টি ইউনিট কাজ করছে। টিনশেডে দোতলা ঘরটা খুলে উপরে নিয়ে আসা হবে। কয়েকজন ডুবুরিও নামানো হয়েছে। এছাড়া স্থানীয়রা উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করছেন।

ঢামেক হাসপাতালে নিহত নিজামের ছেলে সবুজ জানায়, তার বাবা গেন্ডারির রস বিক্রি করতেন। টিনশেড বাড়ি দেবে যাওয়ার সময় তাদের ঘরটিতে মা কল্পনা বেগম ও তার স্ত্রী রোকসানাও ছিল। আহত অবস্থায় তাদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে খিদমাহ হাসপাতালে নিয়ে গেছে। তাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে আমি জানিনা।

ঘটনাস্থল থেকে রামপুরা থানার অপারেশন অফিসার উপ পরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজ বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে আশপাশের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানায়, দুপুরের খাবার শেষে অনেকেই ফিরে যায় নিজ নিজ কর্মস্থলে। আবার কেউ কেউ নিচ্ছিলেন বিশ্রাম। ঠিক তখনই ভাসমান এসব ঘর পানির নিচে ডুবে যায়। আটকা পড়েন বেশ কয়েকজন। স্থানীয়দের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের তৎপরতায় শেষ পর্যন্ত ১২টি লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। অব্যাহত রয়েছে উদ্ধার তৎপরতাও।

এদিকে মর্মান্তিক ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং উদ্ধার তৎপরতা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *