যেভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের পেটাচ্ছিলেন তামিম ইকবাল, তাতে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করতে খুব বেশিক্ষণ লাগত না তার। ৪৬ রান হয়েও গিয়েছিল এ ওপেনারের। এরপর আলজারি জোসেফের এক বলে পয়েন্টে থাকা জারমেইন ব্লাকউডকে ক্যাচ দেন তিনি। ৬৭ বলে ৯ চারে ৪৬ রানে মাঠ ছাড়েন তিনি। টেস্ট ক্যারিয়ারে তার মোট চার এখন ৬৫০টি।
এদিকে দুই বার জীবন পাওয়ার পর মোটামুটি সেটই হয়ে গিয়েছিলেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। সেখানে বাগড়া দেন অভিষিক্ত অ্যান্ডারসন ফিলিপ। নিজের প্রথম ওভারেই জয়কে বোল্ড করেন তিনি। ৪১ রানে ভাঙে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি। জয়কে টানা দুই বলে দুবার আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান বাংলাদেশ ওপেনার। কেমার রোচের হাত থেকে বাঁচলেও ফিলিপ বাঁচতে দেননি তাকে। ৩১ বলে ১০ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। দুই উইকেটে এখন ৭৬ রান নিয়ে ব্যাট করছে টাইগাররা। ১৬ রান নিয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত ও ৪ রান নিয়ে এনামুল হক বিজয় ক্রিজে আছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে শুক্রবার (২৪ জুন) টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় বাংলাদেশ। এ ম্যাচে টাইগারদের একাদশে নেই মুমিনুল হক ও মুস্তাফিজুর রহমান। তাদের বদলি হিসেবে এনামুল হক বিজয় ও শরিফুল ইসলাম দলে জায়গা পেয়েছেন।
টানা ব্যর্থতার পর দল থেকে বাদ পড়েছেন মুমিনুল, সেটা হয়তো কারোরই বুঝতে অসুবিধা হবে না। সাবেক এ ক্যাপ্টেনের সবশেষ ১০টা ইনিংস হলো- ৩৭, ০, ২, ৬, ৫, ২, ৯, ০, ০, ৪। টেস্ট স্পেশালিস্টের তকমা পাওয়া একজন ব্যাটার এমন পারফরম্যান্স করলে তার বাদ পড়া তো অনেকটা অনুমেয়ই।
অন্যদিকে দলে ফেরা এনামুল ঢাকা ডিভিশন প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে ছিলেন বিধ্বংসী। এবারের আসরে তিনি হন সর্বোচ্চ রানের মালিক। ১৫ ম্যাচে ৮১.২৮ গড়ে করেন ১১৩৮ রান। এরপরই এনামুলের জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়। অবশেষে দলে ফিরলেনও তিনি। জাতীয় দলের হয়ে টেস্টে তিনি সবশেষ খেলেছিলেন ২০১৪ সালে। প্রায় ৮ বছর পর টেস্টে ফিরলেন তিনি।
বাংলাদেশ একাদশ
তামিম ইকবাল, মাহমুদুল হাসান জয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, এনামুল হক বিজয়, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), লিটন দাস (উইকেটকিপার), নুরুল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, খালেদ আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও এবাদত হোসেন।
শ্রীলঙ্কা একাদশ
ক্রেগ ব্রাথওয়েট, জন ক্যাম্পবেল, রেইমন রেইফার, এনক্রুমা বোনার, জারমেইন ব্লাকউড, কাইল মায়ার্স, জশুয়া ডা সিলভা, আলজারি জোসেফ, কেমার রোচ, জেইদেন সিলস ও অ্যান্ডারসন ফিলিপ।