ঢাকা: করোনা ভাইরাস এখনও যায়নি জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বাজেটে ৫ হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দের পরিবর্তে ১০ হাজার কোটি টাকা দাবি করেছেন। করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সামগ্রীর ওপর থেকে কর প্রত্যাহারেরও দাবি জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (২২ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, বাজেট নিয়ে অনেক বাজে কথা ও মিথ্যা তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। বাজেটে কোনো নিত্যপণের আমদানির ওপর করারোপ করা হয়নি, করারোপ করা হয়েছে ধণিক শ্রেণির মানুষের বিলাস সামগ্রীর ওপর। বিএনপি আমলে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪১ শতাংশ, বর্তমানে তা নেমে হয়েছে ২১ শতাংশ। তাদের সময় রিজার্ভ ছিল সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার, এখন হয়েছে ৪১ বিলিয়ন ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট খুবই দরিদ্রবান্ধব বাজেট। এ বাজেটে শিল্পের কাঁচামালে কর কমানো হয়েছে। গাড়ি কসমেটিস ইত্যাদিতে কর বাড়ানো হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যখাতে এবার বাজেট বাড়ানো হয়েছে ৪ হাজার কোটি টাকা। গত বছরে বাজেট বাড়ানো হয়েছিল ১৪ শতাংশ, কিন্তু এ বছরে সেটা নামিয়ে আনা হয়েছে ১২ শতাংশে। স্বাস্থ্যখাতে বাজেটে আরও বেশি বরাদ্দ দেবার আহ্বান জানাই। এবারের বাজেটে অর্থ আরও বাড়ানো দরকার। কোভিড নিয়ন্ত্রণে ৫ হাজার কোটি থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে, কিন্তু করোনা এখনো যায়নি, এ খাতে ১০ হাজার কোটি টাকা থোক বরাদ্দ দেওয়া হোক। ভ্যাকসিন উৎপাদনে আমরা সব ব্যবস্থা নিয়েছি। করোনা মোকাবিলায় মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভসের ওপর কর আরোপ করা হয়েছে, এসবের ওপর থেকে কর প্রত্যাহর করা হোক।
জাহিদ মালেক বলেন, ১০০ কোটি টাকা রাখা হয়েছে গবেষণায়, এতে গবেষণা এগিয়ে যাবে। দেশীয় ভ্যাকসিন উৎপাদনে বাজেটে বলা হয়েছে, আশা করি আমরা দেশীয় পর্যায়ে ভ্যাকসিন উদপাদনে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে পারবো। দেশে অসংক্রমণ রোগ বেড়ে যাচ্ছে, ক্যানসার, কিডনি, হার্টের জন্য আমরা ৮টি হাসপাতাল উদ্বোধন করেছি। জেলা পর্যায়ে আইসিইউ, ডায়ালাইসিস এসব সুবিধার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।