এ বছরই মেট্রোরেল ও কর্ণফুলী নদীর তলদেশের টানেল উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার বেলা ১১টায় দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভয়াবহ বন্যা মোকাবিলায় যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। দুর্গতদের উদ্ধার ও ত্রাণ সহায়তায় কাজ করছে সশস্ত্র বাহিনী ও প্রসাশন। এ ছাড়াও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বন্যার্তদের সহায়তা করছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের সরকার। সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নই আমাদের সরকারের লক্ষ্য। বন্যা পরবর্তী রাস্তা-বাড়িঘর মেরামত ও কৃষি পুনর্বাসনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে এই সেতুর সমীক্ষা বন্ধ করে দিয়েছিল। ব্যাংকের সামান্য এমডি পদের জন্য ড. ইউনূস পদ্মা সেতু নিয়ে যড়যন্ত্র করেন। সব যড়যন্ত্র মোবাবিলা করে পদ্মা সেতু আজ বাস্তব।
তিনি আরও বলেন, চলমান করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত গোটা বিশ্বকেই একটি অস্বস্তিকর অবস্থার মুখোমুখি করেছে। সরবরাহ চেইন ভেঙে পড়েছে। খাদ্যশস্যের উৎপাদন এবং পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে। জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে পরিবহন ভাড়া। ফলে বিভিন্ন পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি অর্থনীতির চাকা সচল রেখে দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে। এই সময়ে আমাদের সাশ্রয়ী হতে হবে, অপচয় বন্ধ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী দেশের বন্যা পরিস্থিতি, পদ্মা সেতু উদ্বোধন ও সীতাকুণ্ডসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। করোনা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ার পর এটাই সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম সংবাদ সম্মেলন। এর আগেও তিনি সংবাদ সম্মেলন করেছেন, তবে বেশির ভাগ সাংবাদিক ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।