তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে হুট করেই কোনো সিদ্ধান্ত আসার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কে দোরাইস্বামী।
মঙ্গলবার (২১ জুন) সিএফআইএসএস এবং ঢাকা ট্রিবিউন আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া রিলেশনস’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় হাইকমিশনার বলেন, “তিস্তাসহ ৫৪ টি নদী নিয়ে কাজ করছে ভারত সরকার। এ সমস্যাটি নিয়ে সচেতন অবস্থানে আছে আমাদের সরকার। এ নিয়ে হুট করেই কোনো সিদ্ধান্ত আসার সম্ভাবনা নেই।”
মানুষের নেতিবাচক মনোভাব কমাতে বাংলাদেশ-ভারতের একসঙ্গে আরও বেশি কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে রেলসেবা বাড়াতে চেষ্টা করছি, বর্ডার পয়েন্ট বাড়াতে চেষ্টা করছি। যাতে দু’দেশের সম্পর্ক ভালো হয়। দুই দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থাও দিন দিন পরিবর্তিত হচ্ছে। তাই এখন বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ক আরও বেশি কার্যকর করা উচিত।’
বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যকার সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে কাজ করলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হবে, এটি সত্যি নয়। এমন ভ্রান্ত ধারণা অনেকের মাঝেই রয়েছে। তাই আমাদের মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে, এতেই মানুষের নেতিবাচক মনোভাব কমবে।’
বর্ডারে শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় রাখতে দু’দেশই চেষ্টা করছে বলে দাবি করে বিক্রম কে দোরাইস্বামী। তিনি বলেন, ‘দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সবসময় চেষ্টা করছে। কিন্তু অনেকেই অনৈতিকভাবে পার হতে চাচ্ছে। যাদের মধ্যে কেউ কেউ মাদক থেকে শুরু করে মারণাস্ত্র পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তাই সীমান্তরক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এজন্য প্রথমেই সীমান্তে চোরাচালান বন্ধ করতে হবে।’
সভায় বাংলাদেশের সকল ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইন্দো বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নয়ন প্রয়োজন বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির। এসময় তিনি বলেন, ‘ভারতের সাথেও একইভাবে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। এতে দু’দেশই সমানভাব উপকৃত হবে।’
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ট্রিবিউনের প্রধান সম্পাদক জাফর সোবহান, এইএফআইএসএস চেয়ারম্যান কমোডর মুহম্মদ নুরূল আবসার, প্রথম আলো পত্রিকার ইংরেজি ওয়েব প্রধান আয়েশা কবিরসহ আরও অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি।