আসন্ন কাতার বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হতে যথেষ্ট আশাবাদী ব্রাজিল কোচ। দলের সাম্প্রতিক ফর্ম এবং দক্ষ কোচিং স্টাফদের নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী দল সেলেসাওরা। এমনটাই জানিয়েছেন কোচ তিতে। কাতার বিশ্বকাপের পর নেইমারের অবসর নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু না বললেও জুনিয়র ফুটবলারদের দলে সুযোগ করে দেয়া ও উৎসাহিত করা নেইমারের মহানুভবতা বলে মন্তব্য করেন সেলেসাও কোচ।
কাতার বিশ্বকাপ শুরুর এখনো বাকি ৫ মাস। এরই মধ্যে বিশ্বকাপের উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়েছে পুরো বিশ্বে। ভক্তদের মাঝে চলছে জল্পনা-কল্পনা। কার হাতে ওঠবে কাতার বিশ্বকাপের শিরোপা।
ফেবারিটের তালিকায় ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা অন্যতম। এর মধ্যে ৫ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। ফিফা বিশ্বকাপ ইতিহাসে যা কোনো দলের সর্বোচ্চ সাফল্য। ২০০২ সালে সবশেষ বিশ্বকাপ জিতেছিল ব্রাজিল। এরপর কেটে গেছে দুই দশক। পার হয়েছে ৫টি বিশ্বকাপ। তবে বিশ্বকাপ শিরোপা ঘরে তুলতে পারেনি তারা। আসন্ন কাতার বিশ্বকাপে কী এবার শিরোপা পুনরুদ্ধার করতে পারবে সেলেসাওরা?
সেলেসাও কোচ আসন্ন বিশ্বকাপ জিততে যথেষ্ট আশাবাদী। কাতার বিশ্বকাপে নিজ দলকে শিরোপার বড় দাবিদার মনে করেন তিনি।
ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলের কোচ তিতে বলেন, ‘আমি আশাবাদী এবং মনোযোগী। আমরা ভালোভাবেই বিশ্বকাপে পৌঁছে গেছি। এখন সময় ফাইনালে ওঠার এবং চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। এটাই সত্যি। আগের বিশ্বকাপে আমি পুরো মেয়াদে কাজ করার সুযোগ পাইনি। এবার পুরো চার বছর ধরে কাজ করেছি। প্রত্যাশা তাই অনেক বেশি। তবে আমরা নিজেদের কাজে মনোযোগী থাকতে চাই।’
বেশ কিছুদিন ধরেই গুঞ্জন কাতার বিশ্বকাপের পরেই অবসরে যেতে পারেন নেইমার। তাই এবারের বিশ্বকাপই হতে পারে সেলেসাওদের জার্সি গায়ে তার শেষ বিশ্বকাপ। কোচ অবশ্য এটা নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত নয়। তার চোখে এখনো নেইমার দলের সেরা তারকা।
নেইমারের অবসরের ব্যাপারে তিতে বলেন, ‘নেইমার নেইমারই। ওর তুলনা ও নিজে। সে আমাদের সবচেয়ে বড় তারকা। নেইমারের মহত্ব হলো সেই দলের তরুণদের উন্নতির ব্যাপারে সব সময় সাহায্য করে। তাদের ভালো করার সুযোগ দেয়। সময়ের সঙ্গে নেইমার অনেক পরিণত হয়েছে।’
বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ল্যাটিন আমেরিকা অঞ্চল থেকে সর্বোচ্চ পয়েন্ট নিয়ে কাতার বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয় ব্রাজিল। বাছাই পর্বের ১৭ ম্যাচের মধ্যে ১৩ ম্যাচেই কোনো গোল হজম করেনি ব্রাজিল। ম্যাচপ্রতি গড়ে গোল করেছে আড়াইটা করে।