জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড- কার্যকর করায় দুঃখ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তুরস্ক। দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা আনাডোলু এজেন্সি এ খবর দিয়েছে। এতে বলা হয়, তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গতকাল এ ব্যাপারে একটি বিবৃতি দেয়া হয়। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ফাঁসি কার্যকর না করতে বাংলাদেশের কাছে আহ্বান জানিয়েছিল তুরস্ক। একই সঙ্গে সামাজিক সম্প্রীতি ও দেশে শান্তি ধরে রাখার জন্য একই রকম অন্য মৃত্যুদ-গুলো স্থগিত রাখারও আহ্বান জানিয়েছে। মৃত্যুদ- বাতিল করা হয়েছে এমন একটি দেশ হিসেবে এই শাস্তি কার্যকর করায় উদ্বেগ প্রকাশ করছে তুরস্ক। ফাঁসি কার্যকর করায় সমাজে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে। উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- বাতিল করে তুরস্ক। এর পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদ-ের শাস্তি বর্ধিত করে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের বিচার করতে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ২০১৩ সালের মে মাসে শাস্তি হিসেবে কামারুজ্জামানকে মৃত্যুদ- দেয়। নভেম্বরে তার একটি আপিল খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ফাঁসি কার্যকর হওয়া দ্বিতীয় ব্যক্তি কামারুজ্জামান। এর আগে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে জামায়াতে ইসলামীর আরেক নেতা আবদুল কাদের মোল্লাকে ফাঁসি দেয়া হয়।