বগুড়ারর সারিয়াকান্দি পয়েন্টে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও প্রবল বৃষ্টিপাতে যমুনা নদীর পানি ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ রোববার ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১৩ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ পর্যন্ত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬ হাজার পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রায় সবাই আশ্রয় নিয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধে। বানভাসি মানুষেরা বিশুদ্ধ পানি, পয়ঃনিস্কাশন ও খাবার সংকটে রয়েছে। এখন পর্যন্ত সারিয়াকান্দির প্রায় ৮৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ফসলি জমি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ নতুন নতুন এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। বন্যা কবলিত এলাকার লোকজন তাদের প্রয়োজনীয় মালামাল ও গবাদি পশু সরিয়ে নিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছে। তবে গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার বিকেল ৩টা থেকে রোববার বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ১৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম কবির জানান, উপজেলায় ২৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম জানান, ৫৫০ হেক্টর জমির পাট, ১৭০ হেক্টর আউশ, ২ হেক্টর ভুট্টা এবং ৪ হেক্টর জমির সবজি বা ক্ষেতে বন্যার পানিতে ঢুকেছে।
কাহালু উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১টি পৌরসভা এবং ৯টি ইউনিয়নের ৮৭টি গ্রামে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলের পানিতে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। আরও পানি বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।