সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওড়ে বেড়াতে গিয়ে বন্যায় আটকেপড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ শিক্ষার্থীকে সুরমা নদীর চর থেকে উদ্ধার করেছে সেনবাহিনী।
রোববার (১৯ জুন) সকালে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক বার্তায় জানিয়েছে, শিক্ষার্থীসহ যারা লঞ্চ নষ্ট হয়ে আটকা পড়েছিলেন, তাদের ছাতক থেকে উদ্ধার করে সিলেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এর আগে রাতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল মনসুর আহাম্মদ গণমাধ্যমকে জানান, লঞ্চে আটকেপড়া যাত্রীদের উদ্ধারে সেনাবাহিনীর একটি দল রওনা হয়েছিল। কিন্তু নদীতে প্রবল স্রোত, বৃষ্টি আর অন্ধকারে পথ খুঁজে পেতে সমস্যা হওয়ায় অর্ধেক পথ থেকে তাদের ফিরে যেতে হয়।
তিনি জানান, ‘আইএসপিআরের ডিরেক্টর আমাকে মেসেজ দিয়েছেন, ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে সেনাবাহিনীর টিম গিয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করবে। উদ্ধারের জন্য ৪-৫টি স্পিডবোট রেডি আছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এরপর সকালে তাদের উদ্ধার করে সিলেটে নিয়ে যাওয়ার কথা।’
গত ১৪ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২১ শিক্ষার্থী টাঙ্গুয়ার হাওড়ে ভ্রমণে যান। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়। পরে শহরের ‘পানসী’ রেস্তোরাঁয় তারা আশ্রয় নেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন ছাত্রীও রয়েছেন।
পরে আটকেপড়া শিক্ষার্থীরা সংবাদ মাধ্যমের কাছে উদ্ধারের জন্য সাহায্য চান। তারা সংবাদ মাধ্যমের কাছে উদ্ধারের আর্জি জানিয়ে বলেন, তারা সেখানে খাবার ও সুপেয় পানির সংকটে আছেন। শৌচাগারের ব্যবস্থাও নেই। মোবাইল নেটওয়ার্ক ঠিকমতো কাজ করছে না। সব মিলিয়ে তারা খুব দুরবস্থার মধ্যে আছেন।
পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানী এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল মনসুর আহাম্মদ স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের উদ্ধার ও প্রয়োজনীয় খাবার সরবরাহের অনুরোধ জানান।
এদিকে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সিলেট ও সুনামগঞ্জের সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পানিবন্দি মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন কয়েক লাখ মানুষ। পানিতে আটকেপড়া মানুষকে উদ্ধারে সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে।