সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই আরো ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পুরো জেলায় চলছে হাহাকার। বন্যাকবলিত বেশির ভাগ উপজেলায় পা রাখার মতো শুকনো জায়গা নেই।
এদিকে শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে সিলেট নগরের অনেক উঁচু এলাকাও প্লাবিত হয়ে পড়ছে।
নগরীর মদীনা মার্কেট, বাগবাড়ি, সুবিদবাজার, কলাপাড়া, আম্বরখানা, চৌহাট্টাসহ অনেক উঁচু এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। প্রবল স্রোতসহ পানি প্রবেশ করতে থাকায় এসব এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। শহরের কোথাও বুক সমান, কোথাও কোমর সমান পানিতে নিমজ্জিত। ব্যবসায়ীরা দোকানপাট খুলতে পারছেন না। এতে করে সিলেটে খাদ্য সঙ্কট চরম আকার ধারণ করেছে।
এদিকে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে রেললাইন। তাই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সিলেট রেলওয়ে স্টেশন। তবে জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা থেকে সারাদেশের সাথে ট্রেন যোগাযোগ স্বাভাবিক রয়েছে।
ইতোমধ্যেই পানিবন্দী মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছে সেনাবাহিনী। তাদের সাথে শনিবার সকাল থেকে উদ্ধারকাজে নৌ, বিমানবাহিনী ও কোস্টগার্ডকে যুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে সিলেট আবহাওয়া অফিসের জ্যৈষ্ঠ এক আবহাওয়াবিদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল এক ১০৮.৭ মিলিমিটার। সেখানে আজ সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে ১৫৭ মিলিমিটার। এরমধ্যে সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ছিল ৪৭ মিলিমিটার ও সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ছিল ১১০ মিলিমিটার। বৃষ্টি আরো ২-৩ দিন অব্যাহত থাকবে।