টেস্টের পার হয়েছে সবে মাত্র দুই দিন। দুই ইনিংস শেষ। প্রথম ইনিংসে ১০৩ রানে অলআউট বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে করেছে ২ উইকেটে ৫০ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে করেছে ২৬৫ রান। তার মানে অ্যান্টিগা টেস্টে ইনিংস হার এড়াতে বাংলাদেশের দরকার এখনো ১১২ রান। এই টেস্ট পঞ্চম দিনে যাবে এবং জয়ও আসবে। এমন আশা বাংলাদেশ শিবিরের। তা কতটা যুক্তিসঙ্গত, তা বোধগম্য না। কিন্তু বাংলাদেশ দলের পেসার খালেদ আহমেদ আপাতত তাই ভাবছেন।
প্রথম ইনিংসে ১৫ ওভারের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এবার ২০ ওভারে ২ উইকেট হারানোয় হয়তো বড় কিছু আশা করার সাহস পাচ্ছে দল। শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সৈয়দ খালেদ আহমেদ বলেন, ‘আমরা খেলব জেতার জন্য, ইনশাল্লাহ। চেষ্টা থাকবে ব্যাটসম্যানরা স্কোরবোর্ডে যত রান দেবে খেলাটা যেন পাঁচ দিনে গিয়ে শেষ হয়। এটাই থাকবে চাওয়া।’
টেস্টে কোনো দলের প্রথম ইনিংস ২৬৫ রানে থামিয়ে দেয়া যথেষ্ট বড় সাফল্যই বলা যায়। তবে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস এত কমে শেষ হয়েছে বলেই হয়তো বোলিং সাফল্যের পরও একটু আক্ষেপ করলেন খালেদ। দল এখন তাকিয়ে ব্যাটসম্যানদের দিকে।
তিনি বলেন, ‘উনি (অধিনায়ক সাকিব) বলেছিলেন আরো কমে ওদের অলআউট করতে। আমরা চেষ্টা করেছি। হয়তো ১০-২০ রান বেশি হয়েছে। তবে যা হয়েছে, ভালো হয়েছে। উইকেট এখন খুবই ভালো। বোলারদের জন্য অতটা সহায়তা নেই। আমাদের ব্যাটসম্যানরা আশা করি ভালো খেলবে।’
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২ উইকেটে ৫০ রান। ২২ রান করে বিদায় নিয়েছেন তামিম ইকবাল। হুট করে তিনে উঠে আসা মেহেদী হাসান মিরাজ ৬ বলে করেন ২ রান। ক্রিজে অপরাজিত মাহমুদুল হাসান জয় (১৮) ও নাজমুল হোসেন শান্ত (৮)।
তৃতীয় দিনে বাংলাদেশের ব্যাটারদের জন্য বড় পরীক্ষা। কারণ ইনিংস হার এড়াতে দরকার ১১২ রান। এই রান করার পর দিতে হবে লিড। সেই লিড বড় না হলে হার নিশ্চিত। আর বাকি ৮ উইকেটে ১১২ রান না করতে পারলে তো ইনিংস হার জুটবে কপালে। সে ক্ষেত্রে ম্যাচ পঞ্চম দিনে টেনে নেয়ার আশাটা ভেস্তে যাবে পুরোদমে।