একদিকে আসাম ও মেঘালয়ায় ভয়াবহ বন্যা। অন্যদিকে তীব্র দাবদাহের কবলে ভারতের উত্তরাঞ্চল। উত্তর প্রদেশে এরই মধ্যে তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বেড়েছে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা। সেই সঙ্গে পানিশূন্যতাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বিভিন্ন শহরের বাসিন্দারা।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে মানুষের দীর্ঘ লাইনের এই দৃশ্য উত্তর প্রদেশের বারাণসিতে। রাজ্যটিতে কয়েকদিন ধরে চলা তীব্র দাবদাহে ক্রমেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে দৈনন্দিন জীবনযাত্রা। অসহনীয় গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে মানুষ। বাড়ছে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা। সেই সঙ্গে দেখা দিচ্ছে পানিশূন্যতাজনিত নানা সমস্যাও। খবর ইন্ডিয়া টুডের।
এক চিকিৎসক জানান, যারা ভর্তি হচ্ছেন তাদের মধ্যে ১৫-২০ শতাংশই পানিশূন্যতাজনিত সমস্যায় ভুগছেন। প্রতি মুহূর্তেই রোগী ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে। পাশাপাশি যারা আগে থেকেই ভর্তি তাদেরকেও চিকিৎসাও দিতে হচ্ছে। তাদের সুস্থ করে তুলতে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
শুধু বারাণসি নয়, একই অবস্থা রাজ্যের অন্যান্য শহরেও। এরই মধ্যে তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউ। যারা বের হচ্ছেন তারাও গরমের হাত থেকে বাঁচতে ছাতার পাশাপাশি মুখে কাপড় বেঁধে রাস্তায় নামছেন।
এদিকে একই পরিস্থিতি পাঞ্জাবেও। তীব্র দাবদাহে গেল কয়েকদিন ধরেই অমৃতসরসহ রাজ্যটির অধিকাংশ শহরে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। প্রচণ্ড গরমে একটুখানি শীতল পরশ পেতে নানা ধরনের ঠাণ্ডা পানীয় পান করতে দেখা যায় সাধারণ মানুষকে।
অমৃতসরে এরই মধ্যে তামপাত্রা ৪২-৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। প্রচণ্ড গরমে দৈনন্দিন কাজকর্ম কঠিন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষ অসহনীয় গরমে প্রচণ্ড কষ্ট পাচ্ছেন।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, অচিরেই বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা না থাকায় দাবদাহ আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে। আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা তাদের।