পদ্মা সেতুকে নিয়ে কল্পিত দুর্নীতির অভিযোগ তোলায় বিশ্বব্যাংকের ক্ষমা চাওয়া উচিত। যাদের গায়ে দুর্নীতিগ্রস্তের কালিমা লেগেছে তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
কানাডার কোম্পানি এসএনসি-লাভালিনের কর্মকর্তারা দ্বারা দুর্নীতির মাধ্যমে পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ পাওয়ার চেষ্টা চালায়-এমন অভিযোগ তুলে ২০১২ সালে পদ্মাসেতু নির্মাণে অর্থ সহায়তা দেয়া থেকে সরে আসে বিশ্বব্যাংক।
গত ২০১৭ সালে কানাডার আদালত এসব অভিযোগ মিথ্যা হিসেবে রায় প্রকাশ করলেও তার অনেক আগেই দুর্নীতির অভিযোগে পদ ছাড়তে হয় তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মসিউর রহমানকে। আর দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ মাথায় নিয়ে জেল খাটতে হয় তখনকার সেতু সচিব মোশাররফ হোসেনকেও।
এসব ঘটনার এক দশক না পেরোতেই চিত্র এখন ভিন্ন। সব গুজবকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে উদ্বোধনের অপেক্ষায় স্বপ্নের পদ্মাসেতু। এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বিশ্বব্যাংকের মনোভাবে কোনো পরিবর্তন এসেছে কিনা তা না জানলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অন্যায়ের জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত বিশ্বব্যাংকের।
মিথ্যাচারের কারণে যাদের সম্মানহানি হয়েছে তাদের বিশ্বব্যাংকের ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এদিকে ইন্দো প্যাসিফিক, বেল্ট এন্ড রোডসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক জোটে যোগদানের বিষয়ে বাংলাদেশের ওপর কোনো চাপ নেই বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।