হাদিসুরের পরিবার ও অন্য নাবিকরা পেলেন সাড়ে সাত কোটি টাকা

Slider সারাবিশ্ব


রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকেপড়া এম ভি বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজ ধ্বংস হওয়ায় মনোবল না হারাতে নাবিকদের প্রতি অনুরোধ করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমরা এমভি সমৃদ্ধি হারিয়েছি। আমরা আরও জাহাজ সংগ্রহ করে সমৃদ্ধ হব। সাহস ও মনোবল হারাবেন না। অফিসার ও নাবিকরা আবার কর্মক্ষেত্রে যোগদান করবেন। বাংলাদেশের এম্বাসেডর হিসেবে কাজ করবেন।’

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) ঢাকার দৈনিক বাংলায় বিএসসির আঞ্চলিক কার্যালয় বিএসসি টাওয়ারে এমভি সমৃদ্ধি জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার নিহত মো. হাদিসুর রহমানের পরিবার এবং অন্যান্য কর্মকর্তা ও নাবিকের সাত মাসের বেতনের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণের চেক প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রাখবেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে বিএসসি ভূমিকা রাখবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সাহসের আইকন।’

এ সময় ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে মৃত্যুবরণকারী জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমানের পরিবার এবং অন্যান্য কর্মকর্তা-নাবিককে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণের প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকার চেক দেয়া হয়। এর মধ্যে হাদিসুর রহমানের পরিবারকে সাড়ে পাঁচ লাখ মার্কিন ডলার এবং অন্য কর্মকর্তা ও নাবিকদের সাত মাসের বেতনের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ করা হয়।

এ ছাড়া হাদিসুর রহমানের ভাইকে বিএসসিতে চাকরি দেয়া হয়েছে।

বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর এসএম মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, জাহাজের বিমাকারী প্রতিষ্ঠান সাধারণ বীমা করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমোডর আবু জাফর মো. জালাল উদ্দিন, বিমা ব্রোকার টাইজার অ্যান্ড কোম্পানির বাংলাদেশ প্রতিনিধি এবং বিএসসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

চলতি বছরের ২ মার্চ ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের সময় ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ‘এম ভি বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে রকেট হামলায় নিহত হন জাহাজটির থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর। গোলার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত ওই জাহাজটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। জাহাজের ২৯ নাবিককে মলদোভা-রোমানিয়া হয়ে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। আর ১৪ মার্চ দেশে আনা হয় হাদিসুরের মরদেহ। পরে তাকে দাফন করা হয় বরগুনায় তার বাড়িতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *