সাক্ষী সুরক্ষা আইন প্রণয়ন বিবেচনাধীন: আইনমন্ত্রী

Slider জাতীয়


সাক্ষী সুরক্ষা আইন প্রণয়ন বিবেচনাধীন: আইনমন্ত্রীআইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক
ঢাকা: সাক্ষীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার আইন করার বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, বিচারের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হচ্ছে মামলার সাক্ষী।

সাক্ষীদের প্রদত্ত সাক্ষ্য পর্যালোচনার মাধ্যমে বিচারক রায় দেন। বিচারাধীন মামলা সম্পর্কে দ্রুততম সময়ে সাক্ষীদের অবহিত করার জন্য মোবাইল ফোনে এসএমএস প্রেরণের মাধ্যমে সাক্ষীদের প্রতি সমন জারির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সংসদ অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের লিখিত প্রশ্নের আইনমন্ত্রী এ কথা জানান। বৃহস্পতিবারের প্রশ্ন উত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়৷এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন৷

মন্ত্রী বলেন, আদালতে সাক্ষীরা যাতে ভোগান্তিহীনভাবে সাক্ষ্য দিতে পারেন সেজন্য জেলাগুলোতে হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া, সাক্ষীর নিরাপত্তা ও সুরক্ষার আইন প্রণয়নের বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিচারাধীন মামলা সম্পর্কে দ্রুততম সময়ে সাক্ষীদের অবহিত করার জন্য মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠানোর মাধ্যমে তাদের প্রতি সমন জারির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে ফৌজদারি মামলার সাক্ষীরা আদালতে বিচারাধীন মামলার ধার্য তারিখ সম্পর্কে বিদ্যমান সমন জারি প্রক্রিয়ার পাশাপাশি এসএমএস-এর মাধ্যমে অবগত হবেন। ফলে সহজে ও স্বল্প খরচে আদালতে সাক্ষীর উপস্থিতি নিশ্চিত হবে, যার মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে মামলা নিষ্পত্তি সম্ভব হবে।

সৈয়দ আবু হোসেনের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারিকালে দেশের মানুষ যেন ন্যুনতম বিচারিক সেবা থেকে বঞ্চিত না হয় সে লক্ষ্যে দেশের সকল আদালতে বিচার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সুবিধার্থে বিচারপ্রার্থী সকল পক্ষ এবং তাদের আইনজীবীদের ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতি নিশ্চিতক্রমে মামলার বিচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার উদ্যোগ যুগান্তকারী। ফলে বিচারাধীন জরুরি বিষয়গুলো ভার্চ্যুয়াল আদালতে নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়েছে। ২০২০ সালের ১১ মে হতে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট এবং ২০২১ সালের ১২ এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের ১০ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে ভার্চ্যুয়াল আদালতের মাধ্যমে মোট ৩ লাখ ১৪ হাজার ৪৮২ টি জামিনের দরখাস্ত নিষ্পত্তির মাধ্যমে ১ লাখ ৫৮ হাজার ১৪৬ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বিচারপ্রার্থী জনগণের ভোগান্তি লাঘবে ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা দিয়ে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *