মডার্নার টিকায় বাড়তে পারে হৃদরোগের ঝুঁকি: সিডিসি

Slider লাইফস্টাইল


করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ব্যবহৃত মডার্নার টিকায় নির্দিষ্ট বয়সের মানুষের জন্য হার্ট ইনফ্লেমেশন বা হৃদপিন্ডের প্রদাহের ঝুঁকি বেশি হতে পারে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)। ফাইজারসহ করোনা প্রতিরোধী অন্য টিকায় এ ঝুঁকি থাকলেও, মডার্নায় তা বেশি বলে দাবি মার্কিন এ রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ৬ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের জন্য মডার্না টিকার অনুমোদনের বিষয়ে আলোচনা করতে মঙ্গলবার (১৪ জুন) মিলিত হন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের উপদেষ্টারা। তাদের বৈঠকের পরপরই মডার্নার টিকায় হৃদরোগের ঝুঁকির বিষয়টি সামনে আনে সিডিসি।

ভ্যাকসিন সেফটি ডেটালিংক (ভিএসডি) সিস্টেমের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সিডিসি বলছে, ১৮ থেকে ৩৯ বছর বয়সী পুরুষদের ক্ষেত্রে মডার্নার প্রতি ১০ লাখ ডোজে (দ্বিতীয় ডোজ) হৃদপিণ্ডের প্রদাহের ঘটনা ঘটেছে গড়ে ৯৭ দশমিক ৩টি। যেখানে ফাইজারের টিকার ক্ষেত্রে এ হার ৮১ দশমিক ৭।

যদিও এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত বিস্তারিত কোনো তথ্য দেয়নি সিডিসি।

এদিকে, বিক্রিতে শীর্ষে থাকা করোনার টিকাসহ বিভিন্ন ধরনের প্রায় দুই ডজন ওষুধ সম্প্রতি দরিদ্র দেশগুলোর কাছে বিনালাভে বিক্রি করার ঘোষণা দিয়েছে ফাইজার।

বিশ্বের ৫০টি নিম্ন-আয়ের দেশের স্বাস্থ্য সমতা উন্নত করতে চায় ফাইজার। সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে এমন তথ্যই জানিয়েছে ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। এসব দেশের বেশির ভাগই আফ্রিকার। এছাড়া তালিকায় হাইতি, সিরিয়া, কম্বোডিয়া ও উত্তর কোরিয়াও রয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রে এসব পণ্য সহজলভ্য। কিন্তু দরিদ্র দেশগুলোতে প্রয়োজনের তুলনায় তা নিতান্তই কম। ২৩টি ওষুধ ও টিকাসহ পণ্যগুলো বিভিন্ন সংক্রামক রোগ, ক্যানসার, বিরল ও প্রদাহজনিতে রোগের চিকিৎসায় কাজে লাগানো হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *