জাতিসংঘের কার্যক্রমে যোগ হচ্ছে বাংলা ভাষা। তবে দাফতরিক ভাষা হিসেবে নয়, অদাফতরিক হিসেবে। এখন থেকে বার্তা আদান-প্রদান ও যোগাযোগসহ সব কার্যক্রমে অদাফতরিক ভাষা হিসেবে হিন্দি ও উর্দু ভাষার পাশাপাশি বাংলা ব্যবহার করবে সংস্থাটির বৈশ্বিক যোগাযোগ বিষয়ক বিভাগ (ডিপার্টমেন্ট অব গ্লোবাল কমিউনিকেশনস)।
এখন পর্যন্ত ৬টি ভাষাকে দাফতরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। এর মধ্যে রয়েছে আরবি, ম্যান্ডারিন (চীনা), ইংরেজি, ফরাসি, রুশ ও স্প্যানিশ। কিন্তু এর পাশাপাশি বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের কাছে জাতিসংঘের তথ্য পৌঁছে দিতে অন্যান্য ভাষাও ব্যবহার করা হবে।
সেই লক্ষ্যেই গত শুক্রবার (১০ জুন) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে বহুভাষা বিষয়ক একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। এদিন মোট ছয়টি ভাষা যুক্ত করে প্রস্তাবটি উত্থাপন করে সংস্থার তিন সদস্য ভারত, অ্যান্ডোরা ও কলম্বিয়া। প্রস্তাবে হিন্দি ও উর্দুর পাশাপাশি বাংলা ভাষা উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া পর্তুগিজ, কিসওয়াহিলি ও পার্সি ভাষাও প্রস্তাবে যুক্ত করা হয়েছে।
জাতিসংঘের দাফতরিক ছয় ভাষার পাশাপাশি হিন্দি, বাংলা ও উর্দুর সংযোজন ভাষাগুলোকে আরও প্রাতিষ্ঠানিক করে তুলবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস তিরুমূর্তি। সংস্থাটির কার্যক্রমে বহু ভাষার প্রচলনের ওপর গুরুত্ব দেওয়ায় জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন টিএস তিরুমূর্তি।
তিনি বলেন, বহুভাষাবাদ জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ মূল্যবোধ হিসেবে স্বীকৃত। জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও বার্তা আদান-প্রদানের মাধ্যম হিসেবে হিন্দি, বাংলা ও উর্দু ভাষাকে গ্রহণ করায় স্বাগত জানায় ভারত।
বহুভাষাবাদের এ প্রস্তাবে ভারতসহ ৮০টি দেশ সাড়া দিয়েছে। জাতিসংঘের বহুভাষী কূটনৈতিক দিক দিয়ে বিচার করলে এ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের সঙ্গে সংযোগ গড়ে তুলতে বহুভাষাবাদের গুরুত্ব অপরিসীম।