পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগে গুজব-নাশকতা ঠেকাতে সতর্কতার নির্দেশ

Slider টপ নিউজ


পদ্মা সেতু উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে নাশকতা ও গুজব ঠেকানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল গণভবনে অনুষ্ঠিত ‘নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি’র বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। বৈঠকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিবরা ছাড়াও সামরিক বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিরা অংশ নেন। বৈঠকে খাদ্যদ্রব্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতিরোধসহ পদ্মা সেতুকেন্দ্রিক গুজব, নাশকতা মোকাবিলায় সরকারের করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হয়। বৈঠক সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধ ও করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়েছে। কিন্ত আমাদের দেশে গুজব ছড়ানো হচ্ছে সরকারের দুর্নীতির কারণে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। পদ্মা সেতুকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য দুর্নীতির গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এসবের উদ্দেশ্য দেশে অশান্তি সৃষ্টি করা। এগুলোর বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য এবং ঠাণ্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামাল দিতে কমিটির সদস্যদের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগে কেউ যেন নাশকতা না করতে পারে সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

বৈঠকে বলা হয়, সরকারের সমস্ত অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করতে এসব গুজব ছড়ানো হচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোকে এজন্য সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।

পণ্যমূল্য ও খাদ্যদ্রব্যের দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ কীভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করবে সেই কৌশল নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। খাদ্যদ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং তা জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সরকার থেকে কোন কোন দেশ থেকে কোন কোন দ্রব্য আমদানি করা হবে, কোথায় কোথায় শুল্ক ছাড় দিতে হবে। মজুতদারি যেন না হয়, কালোবাজারি যেন না হয় আমদানিকারক থেকে পাইকারি ও খুচরা বাজার পর্যন্ত কারসাজির মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য বেড়ে জনগণের জন্য অশান্তি বা দুর্ভোগ সৃষ্টি না হয় সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সরকার খাদ্যদ্রব্যের মজুত, চাহিদা, উৎপাদন ও আমদানির বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও মজুতদারি ঠেকাতে গোয়েন্দা সংস্থা ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া বৈঠকে রোহিঙ্গারা যেন আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন করতে না পেরে এবং প্রত্যাবাসন কার্যক্রম গতিশীল করার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানে তাদের সম্পক্তৃতা ঠেকানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে যানজট নিরসনে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হয়। যানজট সহনশীল রাখতে সিটি করপোরেশন ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে নির্দেশা দেয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *