সম্রাটের জামিন বাতিল: আপিল শুনানি ফের পেছাল

বাংলার আদালত


ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিন বাতিল করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে করা আপিল আবেদনের শুনানি আবারও পিছিয়েছে। শুনানির জন্য আগামী সোমবার (২০ জুন) পরবর্তী দিন ঠিক করেছেন আপিল বিভাগ।

সোমবার (১৩ জুন) এ বিষয়ে শুনানির নির্ধারিত দিনে জ্যেষ্ঠ বিচারপতি নুরুজ্জামান ননির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বেঞ্চ নতুন এ দিন ঠিক করেন।

এর আগে, গত সোমবার (৬ জুন) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও সেটি পিছিয়ে যায়। তারপর আজ আবারও কার্যতালিকায় মামলাটি শুনানির জন্য উঠলে সেটিকে নট টুডে করা (আজ নয়) হয়।

গত ৩০ মে সম্রাটের আপিল শুনানির জন্য ৬ জুন দিন ঠিক করেন আপিল বিভাগ। আদালতে সম্রাটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।

এর আগে গত ২৪ মে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।

গত ১১ মে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা দুদকের মামলায় সম্রাটকে জামিন দেন। এরপর ১৭ মে সম্রাটের জামিন স্থগিত ও বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদনের ওপর শুনানি হয়। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজহারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শুনানি শেষে ১৮ মে সম্রাটের জামিন বাতিল করেন। একই সঙ্গে তাকে সাত দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।

গত ১৬ মে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান হাইকোর্টের এ বেঞ্চে জামিন বাতিল চেয়ে আবেদন করেন।

গত ১১ মে পাসপোর্ট জমা রাখা, অসুস্থতা বিবেচনা, আদালতের অনুমতি ছাড়া বিদেশে না যাওয়ার শর্ত এবং প্রতিটি ধার্য তারিখে হাজিরার তিন শর্তে দুর্নীতির মামলায় জামিন পান ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। ৩২ মাস কারাগারে থাকার পর ওইদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় কারামুক্ত হন তিনি।

গ্রেফতারের পর কিছুদিন জেলে থাকলেও অসুস্থতার কারণে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সম্রাট। জামিনে মুক্তির আদেশও আসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রিজন সেলে।

শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় এর আগেই অস্ত্র, মাদক এবং অর্থ পাচার মামলায় জামিন পান সম্রাট। মুক্তিতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় দুদকের এক মামলা। ওই মামলায়ও একবার জামিন চেয়ে ব্যর্থ হন তিনি। আবারও করা হয় জামিন আবেদন।

ক্যাসিনোবিরোধী বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার হন সম্রাট। পরে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও অর্থ পাচারসহ ৪টি মামলা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী। এর মধ্যে দুদকের মামলায় ২১৯ কোটি টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে সম্রাটের বিরুদ্ধে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *