মাইল্ড হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৭২ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড। হৃদযন্ত্রে আরও দুটি ব্লকসহ নানা জটিলতার কারণে তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে গতকাল রবিবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন।
গত শনিবার দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর হৃদযন্ত্রে একটি ব্লক অপসারণ করে সেখানে স্টেন্ট (রিং) পরানো হয়। শুক্রবার গভীর রাতে গুলশানের ভাড়া বাসা ফিরোজায় হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়।
গতকাল ডা. জাহিদ বলেন, গত শনিবার ম্যাডামের হার্টে এনজিওগ্রাম করার পর ৩টি ব্লক পাওয়া যায়। একটা ব্লক মেইন গ্রেট ভ্যাসেল যেটা লেফট সাইডের মধ্যে মোর দ্যান ৯৫% ব্লক ছিল। এ কারণে তার হার্ট অ্যাটাক
হয়েছে। এনজিওগ্রামের পর সঙ্গে সঙ্গে স্টেন্ট পরানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এখন তিনি সিসিইউতে কার্ডিওলজিস্টদের নিবিড় পর্যবেক্ষেণে রয়েছেন। ডাক্তারদের বক্তব্য হলো- ৭২ ঘণ্টা গেলে অর্থাৎ সোমবার (আজ) উনার শারীরিক অবস্থা কেমন, তা বলা যাবে।
অধ্যাপক জাহিদ বলেন, শরীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তীতে বাকি দুটি ব্লকের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কারণ উনার ক্রনিক কিডনি ডিজিজ আছে, ক্রনিক লিভার ডিজিস আছে, এ ক্ষেত্রে যেসব ওষুধ উনি সেবন করেন সে ক্ষেত্রে কিডনির ক্ষতি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সে জন্য ওই দুটি ব্লক অপসারণের কাজ বাকি রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রোগীর চিকিৎসার ব্যাপারে ডাক্তাররা সার্বক্ষণিক নজর রাখছেন। ম্যাডামের পরিবারসহ কাউকে উনারা এলাউ করছেন না। আমরা নিজেরাও সেখানে বেশি যাতায়াত করছি না। বাইরে থেকে যতটুকু সহযোগিতা করার করছি। খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় তার পরিবার দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছে বলে জানান ডা. জাহিদ।