ইউক্রেন যুদ্ধের পর জ্বালানি খাতে মুনাফা বেড়েছে রাশিয়ার

Slider সারাবিশ্ব


রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলছেন, পশ্চিমা দেশগুলো আগামী কয়েক বছরেও রাশিয়ার কাছ থেকে তেল ও গ্যাস নেওয়া বন্ধ করবে না।

তিনি বলেন, এই সময়ের মধ্যে কী হতে পারে সেটা কেউই জানে না, ফলে রুশ কোম্পানিগুলোকে তাদের তেল-কূপ বন্ধ করে দিতে হবে না।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারাও স্বীকার করে নিয়েছেন যে ইউক্রেন যুদ্ধের পরে জ্বালানি খাতে রাশিয়ার মুনাফা যুদ্ধের আগের তুলনায় বেড়ে গেছে।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বর্তমানে তার প্রয়োজনীয় গ্যাসের ৪০% রাশিয়ার কাছ থেকে আমদানি করে থাকে।

ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর ইউরোপের দেশগুলোর এই জোট তেল ও গ্যাসের জন্য রাশিয়ার ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনার কথা ঘোষণা করেছে।

তারা বলছে, ২০২২ সালের শেষ নাগাদ তেলের ওপর নির্ভরতা ৯০% কমাবে। কিন্তু গ্যাসের ব্যাপারে কতোটুকু হ্রাস করবে এখনও তার কিছু উল্লেখ করেনি।

ইউক্রেন যুদ্ধের পর মস্কোকে শাস্তি দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। কিন্তু বিশ্বব্যাপী তেল ও গ্যাসের মূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে এই খাতের রাশিয়ার মুনাফাও বৃদ্ধি পেয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, সার্বিকভাবে সরবরাহের পরিমাণ কমে যাওয়া সত্ত্বেও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি কারণে সম্প্রতি রুশ কোম্পানিগুলোর মুনাফাও বেড়ে থাকতে পারে।

মস্কোতে তরুণ উদ্যোক্তাদের পুতিন বলেন, “বিশ্ব বাজারে তেলের পরিমাণ কমছে, কিন্তু দাম বাড়ছে। তিনি বলেন, “কোম্পানির মুনাফা বাড়ছে।”

বৃহস্পতিবার এই একই ধরনের কথা শোনা গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি নিরাপত্তা সংক্রান্ত দূত অ্যামোস হোকস্টেইনের মুখ থেকেও।

সেনেটে শুনানির সময় জানতে চাওয়া হয়েছিল রাশিয়া কি এখন জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে যুদ্ধের আগের সময়ের চেয়েও বেশি মুনাফা করছে? এর উত্তরে অ্যামোস হোকস্টেইন বলেন: “আমি এটা অস্বীকার করতে পারবো না।”

রুশ শাসক পিটার দ্য গ্রেটের ৩৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক প্রদর্শনীতে যোগ দেওয়ার পর প্রেসিডেন্ট পুতিন একদল তরুণের সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে এসব কথা বলেন।

অষ্টাদশ শতাব্দীর শাসক পিটার দ্য গ্রেট দীর্ঘ সময় ধরে সুইডেনের সাথে যুদ্ধ করেন। প্রেসিডেন্ট পুতিন তার ইউক্রেন যুদ্ধকে পিটার দ্য গ্রেটের সুইডেন যুদ্ধের সাথে তুলনা করেছেন।

পুতিন বলেন, “আপনাদের মনে হতে পারে যে সুইডেনের সাথে যুদ্ধে তিনি কিছু কেড়ে নিতে চাইছেন। কিন্তু তিনি কিছু নিচ্ছিলেন না, তিনি শুধু এটা ফেরত নিচ্ছিলেন,”।

ইউক্রেন প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, “ফিরিয়ে নিয়ে শক্তিশালী করা আমাদের দায়িত্ব।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *