৬ দিনে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোর আগুন নিভলেও বিষাক্ত ধোঁয়া বিপর্যয় ডেকে আনছে পরিবেশের। চোখ জ্বালাপোড়া এবং শ্বাসকষ্টে ভুগছেন স্থানীয়রা। এ কারণে অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়েছেন।
কুমিরা বিএম কনটেইনার ডিপোর পার্শ্ববর্তী গ্রামের শিশুদের আচরণ বলে দিচ্ছে ওখানকার পরিবেশে কতটা বিপর্যয় নেমে এসেছে।
আগুন লাগার পর অন্তত ৬৫ ঘণ্টা লাগে নিয়ন্ত্রণে আনতে। আর পুরোপুরি নেভাতে লেগেছে ৯৫ ঘণ্টার বেশি। তারপরও কালো ধোঁয়ার নির্গমন বন্ধ হয়নি। বরং দমকল কর্মীরা কন্টেইনার সরাতে গেলে ধোঁয়ার পরিমাণ আরও বাড়ে। এতে চোখের যন্ত্রণার পাশাপাশি শ্বাসকষ্টে ভুগছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এমনিতে আগুন ও বিস্ফোরণের পরপরই আতঙ্কিত হয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যান অনেকে। তারা যেমন বসতবাড়িতে ফেরেননি, তেমনি বাকি যারা বাড়িতে ছিলেন তারাও গ্রাম ছাড়ছেন অসুস্থতার ভয়ে।
শনিবার রাতের এ ঘটনায় বিস্ফোরণের শব্দে চার কিলোমিটার দূরের বাড়িঘরের দরজা-জানালা পর্যন্ত ভেঙে পড়ে। এখনো বিষাক্ত ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে পুরো এলাকা।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে উদ্ধারকাজ সমাপ্ত ঘোষণা করেছে ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, এদিন দুপুরের পর থেকে ভেতরে থাকা ক্ষতিগ্রস্ত কোনো কনটেইনারেই আগুন জ্বলে ওঠেনি। পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পাঁচ দিন লেগে গেছে উদ্ধার অভিযানে। গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিএম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। পরে সেখানে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘণ্টা খানেকের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। দমকলকর্মী, শ্রমিক ও বিপুলসংখ্যক মানুষ বিস্ফোরণে হতাহত হন। মারা গেছেন ৪৫ জন। আহত হয়েছেন ৩ শতাধিক। উদ্ধার অভিযানে ফায়ার সার্ভিসের ১০ কর্মীও দিয়েছেন জীবন।