বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত ভ্রমণে বেড়েছে সীমাহীন দুর্ভোগ। পাসপোর্টধারী যাত্রীদের বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে কাজ শেষ করতেই পেরিয়ে যায় ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা। গত এক মাস ধরে চরম দুর্ভোগে যাত্রীরা।
ব্যবসা, চিকিৎসা আর শিক্ষাগ্রহণে নির্ভরশীল বাংলাদেশিদের সারা বছর ধরেই যেতে হয় ভারতে। করোনার পর সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে বিভিন্ন প্রয়োজনে ভ্রমণের চাপ বেড়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ, সেবার বদলে বেড়েছে ভোগান্তি ও হয়রানি।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বেনাপোল বন্দরে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বললে তারা অভিযোগ করে জানায়, পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে পাসপোর্টের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে একেক জনের সময় লাগছে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত। বাংলাদেশ অংশেও রয়েছে চরম অব্যবস্থাপনা। মাসের অধিক সময় ধরে এ অবস্থা চললেও নজর নেই কর্তৃপক্ষের।
যাত্রীরা আরও জানায়, যদি লোকবল বৃদ্ধি করে কাউন্টার বাড়ানো হতো তাহলে তাদের দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে কষ্ট করতে হতো না।
যাত্রী ভোগান্তি কমাতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে আশ্বস্ত করেছে বলে জানান বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক মামুন কবীর তরফদার।
তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা বলছে, কিছু আইনগত বিষয় আছে, কর্মচারীদের পোস্টিংয়ের বিষয় আছে। এটা হলে পারে কিছু সময় লাগবে। এরপর সবকিছুর সমাধান হবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।
বর্তমানে প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৫ থেকে ৬ হাজার যাত্রী দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করছেন। ভ্রমণ খাতে বছরে বাংলাদেশের প্রায় ১০০ কোটি টাকা ও ভারতের ১৫০ কোটি টাকার মতো আয় হয়।