কাতার বিশ্বকাপ : বহিষ্কার হচ্ছে ইকুয়েডর, সুযোগ পাচ্ছে চিলি!

খেলা


লাতিন আমেরিকা তথা কনমেবল অঞ্চল থেকে চতুর্থ দেশ হিসেবে কাতার বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছিল ইকুয়েডর। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা এবং উরুগুয়ের পর ইকুয়েডর বিশ্বমঞ্চে জায়গা করে নিয়েছিল। যদিও হঠাৎই বিশ্বকাপে খেলা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে লাতিন এই দলটির জন্য।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল ও গোলডটকমের বরাতে জানা গেছে, হঠাৎ করেই ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছে চিলি। আর সেই অভিযোগ প্রমাণিত হলে কাতার বিশ্বকাপ থেকেই বহিষ্কার হতে পারে ইকুয়েডর।

সে ক্ষেত্রে বিশ্বকাপের দরজা খুলে যেতে পারে বাছাই পর্বে সপ্তম স্থানে থেকে ছিটকে পড়া চিলির জন্য।

গত মাসেই ফিফার কাছে চিলি ফুটবল ফেডারেশন অভিযোগ করে, বাছাইপর্বে নিয়ম ভেঙে ‘অযোগ্য’ খেলোয়াড় মাঠে নামিয়েছে ইকুয়েডর। মূলত ইকুয়েডরের ডিফেন্ডার বায়রন কাস্তিলোকে নিয়ে অভিযোগ তুলেছে চিলি।

তাদের দাবি, বায়রন কাস্তিলো জন্মগতভাবে ইকুয়েডরিয়ান নন। তিনি মূলত কলম্বিয়ান। তার জন্ম তথ্য গোপন করে ইকুয়েডর ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন কাস্তিলোকে নিজেদের পক্ষে খেলিয়েছে। যা অবৈধ।

এই মুহূর্তে চিলির অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করছে ফিফা। যদি বায়রন কাস্তিলো সত্যি সত্যি কলম্বিয়ান হয়ে থাকেন, তাহলে বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে তার কোনোভাবেই ইকুয়েডরের হয়ে খেলা বৈধ হবে না।

সে ক্ষেত্রে ফিফা তদন্তে যদি এটা প্রমানিত হয়ে যায়, কাস্তিলো তার জন্মসনদ নিয়ে জালিয়াতি করেছেন এবং তার জন্ম কলম্বিয়ায়, তাহলে কাতার বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়েও নিষিদ্ধ হতে পারে ইকুয়েডর। যা হতে পারে দলটির জন্য সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি।

চিলির এই অভিযোগে তাদের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন এদুয়ার্দো কারলেজ্জো। ব্রাজিলিয়ান এই আইনজীবী এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, কাস্তিলোর জন্মসনদ ভুয়া।

তিনি আরও জানিয়েছেন, কাস্তিলো ১৯৯৫ সালে জন্মগ্রহণ করেছেন কলম্বিয়ান শহর টুমাকোয়। অথচ ইকুয়েডর খেলোয়াড়দের জন্মসনদ হিসেবে যেসব দলিলাদি সরবরাহ করেছে, সেখানে দেখানো হয়েছে কাস্তিলো ১৯৯৮ সালে জন্মগ্রহণ করেছেন গুয়াইয়াস রাজ্যের জেনারাল ভিলামিল প্লেয়াসে।

কাস্তিলো মিথ্যা পাসপোর্ট এবং জন্মসনদ নিয়ে খেলে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত হয় কি হয় তা আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে ফিফার পক্ষ থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *