সীতাকুণ্ডে আগুন: ডিপোতে ৪০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য ছিল

জাতীয়


চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ১৩০টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের ৪০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য ছিল বলে ধারণা করছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ)। তবে কী পরিমাণ পণ্যের ক্ষতি হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) দুপুরে বিজিএমইএর একটি দল বিএম কনটেইনার ডিপো পরিদর্শন করে। এসময় পরিদর্শন শেষে বিজিএমইএ এর প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম এ কথা জানান।

তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর ডিপোর স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ডিপোর আগুন নেভানো হয়েছে। এখন ফরোয়ার্ডার ও শিপিং এজেন্ট কাজ করছে পোশাক শিল্পের কী পরিমাণ পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কী পরিমাণ মালামাল নষ্ট হয়েছে তা দুই-একদিনের মধ্যেই জানানো যাবে।

তিনি বলেন, ডিপোটি ভালোভাবে তদারকি করেছি। ফরোয়ার্ডার ও শিপিং এজেন্টের মাধ্যমে বুঝতে পারব কী পরিমাণ মালামাল বন্দর কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় ডিপোতে কী পরিমাণ পণ্য ছিল তা হিসেব করে দেখা হচ্ছে।

ডিপোটিতে যেসব পোশাক অক্ষত রয়েছে সেগুলোর কি হবে- এমন প্রশ্নে নজরুল ইসলাম বলেন, বায়াররা এসব পণ্যের ইন্স্যুরেন্স করে রাখে। ডিপোর পণ্যগুলো কি করা হবে তা বিদেশি বায়ারদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এদিকে, বৃহস্পতিবারও বিএম কনটেইনার ডিপো থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে। আজও ফায়ার সার্ভিসকে ডিপোর ভেতরে কাজ করতে দেখা গেছে।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার রাত ৯টার দিকে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট একে একে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কিন্তু ডিপোর কিছু কনটেইনারে থাকা রাসায়নিক পদার্থের কারণে দফায় দফায় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠে এবং আগুনের তীব্রতা বাড়ে। পরে সেনাবাহিনীর একটি দলও ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসকে আগুন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ বুধবার ভোরে আগুনে দগ্ধ হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন মাসুদ রানা নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ৯ জন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৪ শতাধিক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *