পদ্মা সেতুর খরচে ভারতে নির্মাণ করা যায় ১০ সেতু: রুমিন ফারহানা

Slider রাজনীতি


ঢাকা: পদ্মা সেতুর ব্যয়ের সমালোচনা করে বিএনপির সংরক্ষিত আসনের সদস্য রুমিন ফারহানা একটা পদ্মা সেতুর ব্যয়ে ভারতে ১০টি সেতু নির্মাণ করা যায় বলে মন্তব্য করেছেন।

বুধবার (৮ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ ও দেশের বৃহৎ এ অবকাঠামোর উদ্বোধনের তারিখ চূড়ান্ত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে আনা প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে রুমিন ফারহানা এ মন্তব্য করেন।

এ সময় অধিবেশনে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শামসুল হক টুকু সভাপতিত্ব করেন।

রুমিন ফারহানা বলেন, অনেক মিষ্টি কথা হয়ে গেছে। আমি একটু তোতো কথা বলতে চাই যাতে ভারসাম্য রক্ষা হয়। অন্যান্য দেশের সেতু নির্মাণের সঙ্গে তুলনা করলে পদ্মা সেতুকে বলতেই পারি গোল্ডেন সেতু। এই গোল্ডেন সেতু দুর্নীতির এক উদাহরণ হয়ে থাকবে। এই পদ্মা সেতুর মূল পরিকল্পনা করে ২০০৭ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। বিশ্ব অর্থায়নের কথা ছিল কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্ব ব্যাংক চলে গেলে আওয়ামী লীগ এই সেতু নির্মাণের ভার নেয় এবং দফায় দফায় ব্যয় বাড়ায়। বেড়ে সেটা ৩০ হাজার কোটি টাকা হয়। আমরা যদি তুলনা করি ভারত, চীন, মালায়েশিয়া, ব্রুনাইয়ের সেতু নির্মাণে প্রতি কিলোমিটারে ব্যয় হয় ৫শ’ থেকে ৭ শ” কোটি টাকা। বুয়েটের এক শিক্ষকের গবেষণায় নদীর জটিল ভুপ্রকৃতির বিবেচনায় রেলসহ সেতু নির্মাণে সর্বোচ্চ ব্যয় হতে পারে ১৪শ’ কোটি টাকা। অথচ পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় প্রতি কিলোমিটার ৫ হাজার কোটি টাকা। আমরা যদি ভুপেনহাজারিকা সেতুর দিকে তাকাই ৯ কিলোমিটার এই সেতু নির্মাণে ব্যয় হয় ১১শ’ কোটি রুপি অর্থাৎ ভারতে একটা পদ্মা সেতু নির্মাণ ব্যয় দিয়ে ৩০টা ভুপেনহাজারিকা সেতু নির্মাণ সম্ভব। আমরা যদি ভারতে গঙ্গা নদীর ওপর যে সেতু নির্মিত হচ্ছে ১০ কিলোমিটারের তার খরচ হচ্ছে তিন হাজার কোটি টাকা অর্থাৎ একটা পদ্মাসেতুর ব্যয়ে ভারতে ১০টি সেতু নির্মাণ করা যায়। লুটপাট আর কাকে বলে। এমননি এক গোল্ডেন সেতু যার পরতে পরতে দুর্নীতি। বিশ্বব্যাংক পরে অর্থ দিতে চেয়েছিল। কিন্তু নেওয়া হয়নি কারণ বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ নিলে জবাবদিহিতা থাকতে হয়। এই সরকার যে হরিলুট করেছে পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ নিলে সেটা করা সম্ভব ছিল না।

তিনি বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা কি সেটা আমরা জানি। কথায় কথায় মামলা আর গ্রেফতার। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন খুব সম্ভবত এই সরকারকে নিরাপত্তা দিতে পারছে না। আমি বলবো এখন উন্নয়ন অস্বীকার আইন নামে একটি আইন করা হোক। এই আইনে সরকারের বয়ানের সঙ্গে যারা এক মত না হবে, সরকারের লুটপাটের বিরুদ্ধে যারা বলবে, যারা মানবাধিকারে কথা বলে, ভোটের অধিকারের কথা বলে সেই সব মানুষকে এই আইনে জেলে পুরে রাখতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *