বিস্কুট-পাউরুটির দাম বেড়েছে ৫০% পর্যন্ত

Slider অর্থ ও বাণিজ্য


হাতে তৈরি ও মেশিনজাত (নন-ব্র্যান্ড) পাউরুটি, বিস্কুট, কেকজাতীয় খাদ্যের দাম ২০ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিল বেকারি পণ্য প্রস্তুতকারী ব্যবসায়ী সমিতি। কিন্তু বাজারে এসব পণ্য ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ১০ টাকার পাউরুটি এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়। ১৫ টাকার রুটি পাঁচ টাকা বাড়িয়ে ২০ টাকা এবং ৪০ টাকার রুটি ৪৫ টাকা করা হয়েছে।

পরিমাণভেদে এসব রুটিতে পাঁচ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। একইভাবে পাঁচ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বিভিন্ন আকারের প্যাকেটজাত কেক, রুটি ও বিস্কুটের দাম। ১০ টাকায় পাওয়া যায় এমন বেকারি পণ্য এখন হাতে গোনা। সব ধরনের খোলা বিস্কুটের ন্যূনতম দামও রাখা হচ্ছে পাঁচ টাকা, যা আগে ছিল দুই-তিন টাকা। এসব খাদ্য তৈরিতে ব্যবহৃত ময়দা, চিনি, ডালডা ও ভোজ্য তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে গত বুধবার থেকে এই দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেকারি পণ্য প্রস্তুতকারী ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত এক-দুই মাস ধরে এসব খাদ্যপণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত ময়দা, চিনি, ডালডা ও তেলের দাম বেড়েছে। প্রতি কেজি ময়দায় দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। চিনির কেজিতে বেড়েছে আট থেকে ১০ টাকা, প্রতি কেজি ডালডায় বেড়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা এবং তেলের দাম বেড়েছে লিটারে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় পণ্যের দাম বাড়াতে হয়েছে।

বেকারিতে হাতে তৈরি বা প্রক্রিয়াজাত মেশিনে পাউরুটি, বনরুটি, কেক, বিস্কুটসহ বিভিন্ন ধরনের কনফেকশনারি পণ্য তৈরি করা হয়। দাম বাড়ানোর ফলে এত দিন ১০০ টাকায় যে বিস্কুট বা কেক পাওয়া যেত তা কিনতে এখন গুনতে হচ্ছে অন্তত ১২০ থেকে ১৫০ টাকায়।

বাংলাদেশ রুটি, বিস্কুট ও কনফেকশনারি প্রস্তুতকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক রেজা বলেন, ‘আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে বেকারি পণ্য ২০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দিয়েছিলাম। কিন্তু অনেক বেকারি মালিক সে দাম মানেননি। একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে তো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এলাকাভেদে এই পরিস্থিতি হয়েছে। ’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *