সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণের পর চার বছর ধরে পড়ে থাকা হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড তড়িঘড়ি করে নিলামে তুলেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস। চার বছর ধরে পড়ে থাকা সেই রাসায়নিক বিক্রি হয়েছে মাত্র একদিনের ব্যবধানে।
৩০ টন হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের সর্বোচ্চ দর তুলে কিনে নিয়েছে মেসার্স এয়াকুব ট্রেডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি ২৩ লাখ ৮০ হাজার টাকার হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড কিনে নিয়েছে মাত্র ৫ লাখ ২০ হাজার টাকায়।
সোমবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার (নিলাম শাখা) আলী রেজা হায়দার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গতকাল ইয়ার্ড থেকে এসব হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের ড্রাম দ্রুত সরিয়ে নিতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয় বন্দর। চার বছর আগে গাজীপুরের কেয়া নিট কম্পোজিট লিমিটেড নামের একটি নিট গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান তুরস্ক থেকে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের চালানটি আমদানি করে। বন্দরে আসার পর প্রতিষ্ঠানটি সেগুলো খালাস করেনি। এরপর থেকে দুই কনটেইনারের চালানটি বন্দরের চত্বরে পড়ে ছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার (নিলাম শাখা) আলী রেজা হায়দার বলেন, যেহেতু রাসায়নিক দ্রব্য বিপদ বা দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ায় তাই নিরাপত্তার খাতিরে আজ দ্রুত রাসায়নিক দ্রব্যগুলো বিক্রির জন্য নিলামে তোলা হয়। দুই কনটেইনারে ৬০৯ ড্রামে ৩০ হাজার কেজির বেশি হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড ছিল। চালানটির সংরক্ষিত দাম ধরা হয়েছিল ২৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। পরে সর্বোচ্চ দর হিসেবে ৫ লাখ ২০ হাজার টাকায় দ্রব্যগুলো বিক্রি করা হয়।
এদিকে সবশেষ তথ্যানুযায়ী, সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারি এলাকার বিএম ডিপোতে আগুন লাগার ৪৫ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। কনটেইনারের ভেতরে থাকা সুতির কাপড়, তুলা, জুটসহ বিভিন্ন পণ্য জ্বলছে। ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। পাশাপাশি প্রাইম মুভার দিয়ে কনটেইনার সরানোর কাজও চলছে। নিরাপত্তার খাতিরে এখন ডিপোর ভেতরে কাউকে প্রবেশাধিকার দেয়া হচ্ছে না।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড বিএম কন্টেইনার ডিপোতে রাসায়ানিক বিস্ফোরণে ৪৯ জন মৃত্যুর পাশাপাশি দগ্ধ হয়েছে প্রায় ৪ শতাধিক।