‘সিবিআই’ নাকি ‘ইডি’ কার হেফাজতে যাবে পি কে হালদার সে বিষয়ে ভারতের আদালতের সিদ্ধান্ত জানা যাবে আগামী ৭ জুন। সোমবার (৬ জুন) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম এ কথা জানান।
তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছে দুদক।
পি কে হালদারের সবশেষ অবস্থা জানতে চাইলে তিনি জানান, ব্যাঙ্কশাল স্ট্রিটের নগর দায়রা আদালতের আদেশে তিনি জুডিশিয়াল কাস্টডিতে আছেন আগামী ৭ জুন পর্যন্ত। সেদিন ভারতের আদালত সিদ্ধান্ত নেবে যে, তিনি ইডির হাতেই থাকবেন নাকি সিবিআইয়ের কাছে যাবেন।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে দুদক পি কে হালদারের প্রত্যেকটি কার্যক্রম পর্যালোচনা করছে। ৭ জুনই সবশেষ অবস্থা জানা যাবে।
পি কে হালদারকে কবে নাগাদ দেশে ফেরত আনা যাবে এ প্রশ্নের উত্তরে খুরশীদ আলম বলেন, আদালত রায় না দেয়া পর্যন্ত এ সম্পর্কে কিছু বলা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশের এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং বেআইনিভাবে ভারতে বিপুল পরিমাণ অর্থপাচারের দায়ে অভিযুক্ত পি কে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীকে ৭ জুন পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার ব্যাঙ্কশাল স্ট্রিটের নগর দায়রা আদালত। গত ২৭ মে এ আদেশ দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৪ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেফতার হন এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদার। পরে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পি কে হালদারসহ ছয়জনকে আদালতে নেয়া হলে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। তিন দিনের জেরায় প্রায় ১৫০ কোটি রুপির বেশি সম্পদের হদিস পায় ইডি।
এর আগে ভারতে পি কে হালদারের বিপুল পরিমাণ অর্থের সন্ধান পায় দেশটির তদন্ত সংস্থা ইডি। এখন পর্যন্ত পি কে হালদারসহ গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার সংক্রান্ত ভারতীয় আইনের মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট ৩ এবং ৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছে ইডি।