সোমবার (৬ এপ্রিল) রাত সোয়া সাতটা পর্যন্ত বিচারপতিরা রায়ে স্বাক্ষর করেননি বলে নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিম কোর্ট সূত্র।
এর আগে সোমবার সকালেই জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর পর থেকেই অপেক্ষা ছিলো সে রায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর কাছে পৌঁছানোর। কিন্তু সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার সূত্র নিশ্চিত করে তখনও রায়ের কপিতে আপিল বিভাগের সদস্যরা সই করেননি।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার আমিনুল ইসলামকে উদ্ধৃত করে একাধিক টেলিভিশন চ্যানেল এও জানায়, মঙ্গলবার রায়ের কপিতে সই করবেন বিচারপতিরা।
আর রায় প্রদানকারী বিচারপতিরা স্বাক্ষর দেওয়ার পর রায়ের অনুলিপিটি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হবে।
এরপরেই এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে কারা কর্তৃপক্ষ।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ রিভিউয়ের এ রায় ঘোষণা করেন। বেঞ্চের অপর তিন সদস্য হলেন বিচারপতি আব্দুল ওয়াহহাব মিয়া, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী।
রায়ের পরপরই অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম দুপুরে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, রিভিউ খারিজের রায়টি কারাগারে পাঠাবেন আপিল বিভাগ। সেটি বিচারিক আদালত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমেও পাঠাতে পারেন, অথবা সরাসরিও পাঠাতে পারেন সর্বোচ্চ আদালত। কারা কর্তৃপক্ষ সেটি পাওয়ার পরে আসামিকে জানাবেন।
তবে যেহেতু রিভিউ মামলার শুনানিতে কামারুজ্জামানের প্রতিনিধি তার আইনজীবী ছিলেন, সেহেতু চূড়ান্ত রায়টি তিনি জেনে গেছেন বলেই ধরে নেওয়া যায়। অথবা তার আইনজীবীরা তাকে জানালেও চলবে- যোগ করেন অ্যাটির্নি জেনারেল।
রায় কার্যকরের বিষয়টি এখন সম্পূর্ণভাবে সরকারের ওপর নির্ভরশীল বলেও জানান অ্যাটর্নি জেনারেল। তার মতে, মানবতাবিরোধী অপরাধীদের ক্ষেত্রে জেলকোড প্রযোজ্য হবে না। তাই সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর ফাঁসির দিনক্ষণ নির্ভর করছে।
রায় এখন কিভাবে কার্যকর করা হবে সে প্রশ্নে রাষ্ট্রের এই সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন’১৯৭৩ এর ২০(৩) ধারা অনুসারে সরকার সে ব্যবস্থা নেবে।
ঢাকা: রিভিউ আবেদন খারিজ করে যুদ্ধাপরাধী মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসির আদেশ বহাল রেখে দেওয়া রায়ে স্বাক্ষর হয়নি চার বিচারপতির।