চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন ৩০ ঘণ্টায়ও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। রোববার দিবাগত রাত দুইটার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আগুন জ্বলছিল, উঠছিল ধোঁয়া। ঘটনাস্থলে অবস্থান করছিলেন সেনাবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা।
সরেজমিন দেখা যায়, ডিপোর পশ্চিম পাশের কয়েকটি কনটেইনারে আগুন জ্বলছে। আশপাশের আরও কয়েকটি কনটেইনার থেকে বের হচ্ছে ধোঁয়া। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে ওপর থেকে এসব কনটেইনারে পানি ছিটাচ্ছেন।
ডিপোর প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রয়েছে পুলিশের একটি দল। ফটকের একটু ভেতর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন। রয়েছেন সেনা সদস্যরাও।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঘটনাস্থলে থাকা ফায়ার সার্ভিসের এক সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, রাতের মধ্যে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসার সম্ভাবনা নেই। আশপাশে থাকা কনটেইনারগুলোতে রাসায়নিক না থাকলে হয়তো আগুন বেশি ছড়াবে না। কিন্তু রাসায়নিক থাকলে বিস্ফোরণের সম্ভাবনা আছে। রাসায়নিক আছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে ফায়ার সাভিসের উপপরিচালক (অভিযান) দুলাল মিয়া বলেন, ‘আগুন এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সময় লাগবে। আমাদের কাজ চলছে। ডিপোর ৫০০ মিটার শেডের ভেতর ঢুকে এখনো উদ্ধার অভিযান শুরু করা যায়নি। সেখান থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে।’
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে রাত সাড়ে ১২টায় জানানো হয়, আগুন নেভাতে তাদের ১২টি গাড়ি কাজ করছে। একটি গাড়ির পানি শেষ হলে বদলি হিসেবে আরেকটি পাঠানো হচ্ছে। রাতে আগুন নেভানোর কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন সিকদার। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষের কর্তব্যরত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, নিরবচ্ছিন্নভাবে ফায়ার সার্ভিস কাজ করে যাচ্ছে। পালা করে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
শনিবার রাত ৯টার দিকে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। ঘণ্টা দুই পর রাসায়নিক থাকা কয়েকটি কনটেইনারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এতে দুই শতাধিক মানুষ আহত হন। এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪৯ জনের।