চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এরমধ্যে আট জন ফায়ার সার্ভিসকর্মীর মরদেহ শনাক্ত করা গেছে।
এখনো একজনের পরিচয় মেলেনি। এ ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন আরও চার শতাধিক।
ফায়ার সার্ভিসের নিহত ও নিখোঁজ কর্মীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হলো।
যারা মারা গেছেন:
১. মো. রানা মিয়া, ফায়ারফাইটার, কুমিরা ফায়ার স্টেশন, নিজ জেলা-মানিকগঞ্জ (নিহত)। ২. মো. মনিরুজ্জামান, নার্সিং অ্যাটেনডেন্ট, কুমিরা ফায়ার স্টেশন, নিজ জেলা-কুমিল্লা (নিহত)। ৩. আলাউদ্দিন, ফায়ারফাইটার, কুমিরা ফায়ার স্টেশন, জেলা-নোয়াখালী (নিহত)। ৪. মো. শাকিল তরফদার, কুমিরা ফায়ার স্টেশন (নিহত)। ৫. মিঠু দেওয়ান, লিডার, কুমিরা ফায়ার স্টেশন, নিজ জেলা-রাঙামাটি (নিহত)।
৬. নিপন চাকমা, লিডার, সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশন, নিজ জেলা-রাঙামাটি (নিহত)। ৭. রমজানুল ইসলাম, ফায়ারফাইটার, সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশন, নিজ জেলা-শেরপুর (নিহত)। ৮. সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, ফায়ারফাইটার, সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশন, নিজ জেলা-ফেনী (নিহত)
এখনো নিখোঁজ রয়েছেন:
এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছেন মো. ইমরান হোসেন মজুমদার, লিডার, কুমিরা ফায়ার স্টেশন, নিজ জেলা-চাঁদপুর (নিখোঁজ)। শফিউল ইসলাম, ফায়ারফাইটার, কুমিরা ফায়ার স্টেশন, নিজ জেলা-সিরাজগঞ্জ (নিখোঁজ)। মো. রবিউল ইসলাম, ফায়ারফাইটার, সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশন, নিজ জেলা-নওগাঁ (নিখোঁজ)। ফরিদুজ্জামান, ফায়ারফাইটার, সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশন, নিজ জেলা-রংপুর (নিখোঁজ)। তবে ১২ জন নিখোঁজ আছেন বলে জানা গেছে। মরদেহ পাওয়া গেছে ৯ জনের। এর মধ্যে পরিচয় শণাক্ত করা গেছে ৮ জনের। বাকি নিখোঁজ ৪ জনের নাম পরিচয় শণাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
সবশেষ খবর অনুযায়ী, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট কাজ করছে।
শনিবার (৪ জুন) রাত ৮টার দিকে বিএম কনটেইনার ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভেতরে আগুনের সূত্রপাত হয়। কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। রাত পৌনে ১১টার দিকে এক কনটেইনার থেকে অন্য কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। রাসায়নিক থাকায় একটি কনটেইনারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, স্থানীয় শ্রমিকসহ অনেকে হতাহত হন। পুড়ে যায় ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়িও।