চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোয় বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহত ৪২ জনের ভেতরে একজন ফায়ার সার্ভিসকর্মীসহ ১৪ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। অন্যদের মরদেহ শনাক্ত করার জন্য স্বজনদের কেউ এখনও হাসপাতালে পৌঁছাননি। কারও কারও মরদেহ আবার এতটাই পুড়ে গিয়েছে যে, তা শনাক্ত করার উপায় নেই।
যাদের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভভ হয়েছে তারা হলেন- কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিসের কর্মী মনিরুজ্জামান, ভোলার দক্ষিণ বালিয়ারার হাবিবুর রহমান, বাঁশখালীর রবিউল আলম, মুমিনুল হক, মহিউদ্দিন, তোফায়েল আহমেদ, নোয়াখালীর চাটখিলের আলাউদ্দিন, মো. সুমন, যশোরের ইব্রাহীম হোসেন, রানা মিয়া, নিপুন চাকমা, শাকিল, আফজাল হোসেন ও নয়ন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালকুদার বলেন, নিহতদের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। এছাড়া এই ঘটনায় দগ্ধ আরও দুই শতাধিত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এদিকে, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত বেড়ে ৪২ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে আটজন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী। অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়েছেন ৪ শতাধিক।
সবশেষ খবর অনুযায়ী আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট কাজ করছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার (৪ জুন) রাত ৮টার দিকে বিএম কন্টেইনার ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভেতরে আগুনের সূত্রপাত হয়। কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। রাত পৌনে ১১টার দিকে এক কন্টেইনার থেকে অন্য কন্টেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। রাসায়নিক থাকায় একটি কন্টেইনারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, স্থানীয় শ্রমিকসহ অনেকে হতাহত হন। পুড়ে যায় ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়িও।