সবশেষ খবর অনুযায়ী আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট কাজ করছে।
শনিবার (৪ জুন) রাত ৮টার দিকে বিএম কন্টেইনার ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভেতরে আগুনের সূত্রপাত হয়। কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। রাত পৌনে ১১টার দিকে এক কন্টেইনার থেকে অন্য কন্টেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। রাসায়নিক থাকায় একটি কন্টেইনারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, স্থানীয় শ্রমিকসহ অনেকে হতাহত হন। পুড়ে যায় ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়িও।
ধীরে ধীরে ফায়ার সার্ভিসের আরও ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেন। তবে ডিপোতে হাইড্রোজেন পারক্সাইড থাকার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।
রোববার (৫ জুন) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। কীভাবে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে তা ঘুরে দেখেন মহাপরিচালক।
তিনি জানান, বর্তমানে আগুন নেভাতে ২৫টি ইউনিট কাজ করছে।
এদিকে বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ দগ্ধ তিনজনকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়েছে। সকাল আটটার দিকে (রোববার) তাদের অ্যাম্বুলেন্স যোগে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। এরা হলেন, শিল্পাঞ্চল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান, (৩৭) মাগফারুল ইসলাম (৬৫) ও খালেদুর রহমান (৬০)।
বার্ন ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্তলাল সেন জানান, এদের মধ্যে দুজনেরই শরীরের ১২ শতাংশ করে দগ্ধ হয়েছে। তাদরকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে, পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া আরেক পুলিশ সদস্য মো. তুহিনকেও উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।