চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হওয়ার ৭ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পরও আগুন নেভানো যায়নি। কনটেইনারে কেমিক্যাল থাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। তবে ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসকে।
ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন সিকদার জানান, আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে ৭-৮ টি কনটেইনারে বিস্ফোরণে হয়ে আবার আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। কনটেইনারে কেমিক্যাল ছিল। সেই কারণে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
তিনি আরও বলেন, ফায়ার সার্ভিসের নয়টি স্টেশনের ১৮ ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভাতে কাজ করছে। আমাদের অনেক সদস্য আহত হয়েছে।
শনিবার রাত ১১টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী এলাকার বিএম কনটেইনার ডিপোতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজনে দাঁড়িয়েছে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তিন শতাধিক মানুষ। হতাহত ব্যক্তিদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিকদের পাশাপাশি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা রয়েছেন।
আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেলের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত রোগীর চাপে অনেককে ওয়ার্ড ছাড়াও হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। মেডিকেলে পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও রক্তের সংকট দেখা দিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে নগরীর সকল প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসকদের চমেক হাসপাতালে আসার অনুরোধ করেছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াছ চৌধুরী। একই সাথে তিনি রক্তদাতাদের এগিয়ে আসার অনুরোধও জানান।