‘লা ফিনালিসিমায়’ আর্জেন্টিনার বিপক্ষে বিধ্বস্ত হওয়ার পর ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় জানিয়েছিলেন ইতালির কোচ রবার্তো মানচিনি। সেই হারের ক্ষত ভুলে শনিবার (৪ জুন) উয়েফা নেশন্স লিগের ম্যাচে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানির মুখোমুখি হয়েছিল বর্তমান ইউরো চ্যাম্পিয়নরা। দলে অনেক রদবদল এনে আজও জয় পায়নি আজ্জুরিরা। তাতে সমান চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের মহারণ শেষ হয়েছে ১-১ গোলের ম্যাড়মেড়ে ড্রয়ে।
ইতালির জন্য আজকের ম্যাচটি ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর। ইউরো জয়ের পর থেকেই উল্টোযাত্রা শুরু আজ্জুরিদের। পুঁচকে মেসিডোনিয়ার কাছে হেরে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব থেকেই বিদায়ের পর, কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার কাছে ৩-০ গোলে হেরে ইউরোপের মর্যাদা রক্ষার লড়াইয়েও হার মানতে হয়েছে ইউরো চ্যাম্পিয়নদের। তাই বিপর্যস্ত দলটির জন্য এই ম্যাচটি ছিল আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার।
বোলোনিয়ার মাঠে লিগের তিন নম্বর গ্রুপের ম্যাচে শুরুটা ভালো হয়নি কোন দলেরই। ভুল পাসের ছড়াছড়ি আর রক্ষণাত্মক কৌশলে ম্যাড়মেড়ে ফুটবল খেলছিল ইতালি। ইতালির ডিফেন্সিভ ফুটবলে আক্রমণে সুবিধা করতে পারছিল না জার্মানিও। ফলে প্রথমার্ধের খেলায় গোলের দেখা পায়নি কোন দলই।
দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা গোছানো ফুটবল খেলতে থাকে ইতালি। দুদলের আক্রমণাত্মক ফুটবলে খেলায় প্রাণ ফিরে আসে। বল দখলে অবশ্য এগিয়ে ছিল জার্মানিই। ৬৮ শতাংশ সময় বল ছিল জার্মানদের পায়ে। তবে গোলে শট নেওয়ার বেলায় দুদলই সমানে-সমান বলা চলে। জার্মানির ১২টি শটের বিপরীতে ইতালির শট ১১টি।
ম্যাচের ধারার বিপরীতে ৭০ মিনিটে লরেঞ্জো পেল্লেগ্রিনির গোলে এগিয়ে যায় ইতালি। অবশ্য তারা লিড ধরে রাখতে পারে মাত্র ৩ মিনিট। মিডফিল্ডার জশুয়া কিমিখের গোলে সমতায় ফেরে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচের বাকি সময়ে অবশ্য চেষ্টা করেছে দুদলই কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি কেউই।
জার্মানির জন্য এই ম্যাচটি হতে পারতো প্রতিশোধের। ২০০৬ এর বিশ্বকাপে শেষ মুহূর্তে ২ গোল করে জার্মানিকে সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় করে দিয়েছিল ইতালি। নিজ দেশে সেই বিদায়ের প্রতিশোধ হতে পারতো আজ ইতালিকে তাদের মাটিতেই হারাতে পারলে।
গ্রুপ পর্বের পরের ম্যাচে আগামী মঙ্গলবার জার্মানি ঘরের মাঠে খেলবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ইতালিও খেলবে নিজেদের আঙিনায়, প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চমক দেওয়া হাঙ্গেরি।