লঙ্কার ভূত বাংলাদেশকে আছর করবে না তো?

Slider টপ নিউজ


মো: হারুন-অর-রশিদ: শ্রীলঙ্কা দক্ষিণ এশিয়ার একটি দ্বীপরাষ্ট্র। ভারতের দক্ষিণ উপকূল থেকে ৩১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এই দেশটি দেউলিয়া রাষ্ট্র ঘোষিত হয়েছে। ‘শ্রীলঙ্কা’ শব্দটি এসেছে সংস্কৃত শব্দ ‘শ্রী’ ও ‘লঙ্কা’ থেকে। শ্রী শব্দের অর্থ পবিত্র এবং লঙ্কা শব্দের অর্থ দ্বীপ, এক কথায় শ্রীলঙ্কা শব্দের অর্থ পবিত্র দ্বীপ। বর্তমানে জ্বালানি তেল ও খাদ্যের অভাব এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সঙ্কটে জর্জরিত এই দ্বীপরাষ্ট্রটির সব পবিত্রতাই দ্বীপ ছেড়ে পালিয়েছে। ৬৫ হাজার ৬১০ বর্গকিলোমিটার আয়তনবিশিষ্ট এই রাষ্ট্রটির জনসংখ্যা দুই কোটি ২৭ লাখ। মানব উন্নয়ন রিপোর্ট ২০১৫ অনুসারে, শ্রীলঙ্কার বয়স্ক সাক্ষরতার হার ৯৬.৩ শতাংশ যা গড় হিসাবে বিশ্ব এবং আঞ্চলিক মানের ঊর্ধ্বে। মাথাপিছু তিন হাজার ৮৩০ মার্কিন ডলার আয় থাকা সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কা আজ চরম অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সঙ্কটে পতিত। দেশটি আজ ঋণের ভারে জর্জরিত, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় শূন্যের কোঠায়। বৈদেশিক মুদ্রার অভাবে সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিদেশ থেকে আমদানি করতে পারছে না। উচ্চ মূল্যস্ফীতি, খাদ্য, জ্বালানি, ওষুধ ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অভাব এবং দিনে ১০-১২ ঘণ্টা লোডশেডিং নাগরিকদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। শ্রীলঙ্কার বর্তমান সঙ্কট কেবল অর্থনীতি নয়, রাষ্ট্রকেও সঙ্কটের মুখে ফেলে দিয়েছে। জনগণ রাষ্ট্রের প্রতি আস্থা হারিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছে, ফলে বর্তমানে দেশটির সামাজিক শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে।

আমরা যদি ইতিহাসের দিকে লক্ষ করি তাহলে দেখতে পাই, প্রাচীনকাল থেকে শ্রীলঙ্কা একটি গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক সৈকত ও বাণিজ্যিককেন্দ্র হিসেবে বণিকদের কাছে পরিচিত। মধ্যপ্রাচ্য, পারস্য, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশ এখানে ব্যবসায় করত। ১৫০৫ সালে পর্তুগিজরা সর্বপ্রথম এখানে পৌঁছায়। ১৭ শ’ শতাব্দীর দিকে ডাচরা আসে যদিও ১৭৯৬ সালে দ্বীপটি ব্রিটিশ শাসনের অধীনে চলে যায়। ১৮১৫ সালে কান্ডি ব্রিটিশ শাসনের অধীনে এলে সম্পূর্ণরূপে ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। ইউরোপীয় উপনিবেশ এখানে চা, রাবার, চিনি, কফি ও নীলের চাষ শুরু করে। তারা আধুনিক বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়, রাস্তাঘাট এবং চার্চ তথা পশ্চিমা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলেছিল। ১৯৩০ সালের দিকে স্থানীয়দের প্রতি ব্রিটিশদের নির্যাতন-অত্যাচারের জেরে স্বাধীনতার আন্দোলন শুরু হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর স্বাধীনতার আন্দোলন জোরদার হতে থাকে। ১৯৪৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সিলোন নামে দেশটি স্বাধীনতা পায়। ১৯৭২ সালে সিলোন থেকে শ্রীলঙ্কা নামকরণ করা হয়।

দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে অগ্রসর অর্থনীতির দেশ শ্রীলঙ্কা, যেখানে মাথাপিছু জিডিপি চার হাজার ডলারের বেশি। দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে গণমুখী দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও দক্ষিণ এশিয়ার সেরা। শ্রীলঙ্কান তামিল টাইগারদের ওপর সরকারি বাহিনীর বিজয়ের মাধ্যমে ১৯৮৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত চলা গৃহযুদ্ধের সমাপ্তির পর বিশ্বের কাছে একুশ শতকের সফল অর্থনৈতিক উন্নয়নের মডেল হয়ে ওঠার সম্ভাবনা ধারণ করছিল দেশটি। আগে অনেক সামাজিক সূচকে শ্রীলঙ্কা দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে ছিল। এত কিছু সত্ত্বেও প্রশ্ন উঠছে, শ্রীলঙ্কা কীভাবে এই চরম সঙ্কটে পতিত হলো? সরকারের নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে কি কোনো ত্রুটি ছিল?

শ্রীলঙ্কার বর্তমান অর্থনৈতিক সঙ্কট হঠাৎ করে হয়নি। এটি বুঝতে হলে ২০০৫ ও ২০১৫ সালের মধ্যে যখন মাহিন্দা রাজাপাকসে ক্ষমতায় ছিলেন, তখন এবং ২০১৯ সালের পর থেকে তাদের গৃহীত অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলো দেখতে হবে।

মাহিন্দা রাজাপাকসের আমলে সরকার বিদেশী ঋণ নিয়ে কয়েকটি উচ্চাভিলাষী প্রকল্প গ্রহণ করেছিল, যেমন- মাত্তালা রাজাপাকসে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, হাম্বানটোটা সমুদ্রবন্দর এবং কলম্বো পোর্ট সিটি উন্নয়ন প্রকল্প। কিন্তু এই প্রকল্পগুলো প্রত্যাশিত মুনাফা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে যার কারণে সরকারকে প্রচুর আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। মাত্তালা রাজাপাকসে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্মিত সুযোগ-সুবিধা প্রায় অব্যবহৃত রয়েছে। ফলে এ প্রকল্পটি একটি ‘সাদা হাতি’তে পরিণত হয়েছে। মেগা প্রকল্পের নামে বেহিসাবি ঋণ নিয়ে এবং বিনিয়োগ থেকে পর্যাপ্ত টাকা রিটার্ন না আসায় ঋণ পরিশোধের জন্য সরকারকে আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজার থেকে আরো উচ্চসুদে ঋণ নিতে হয়, যার ফলে বৈদেশিক ঋণের বোঝা আরো বেড়ে যায়। বর্তমানে শ্রীলঙ্কার ঋণের বোঝা জিডিপির প্রায় শতভাগেরও বেশি ছাড়িয়ে গেছে। অবশেষে, সরকার অন্য কোনো উপায় না পেয়ে হাম্বানটোটা সমুদ্রবন্দরটি একটি চীনা কোম্পানির কাছে ৯৯ বছরের জন্য লিজ দিতে বাধ্য হয়।

রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপাকসে দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং অর্থনীতিকে আরো শক্তিশালী ও স্থিতিশীল করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৯ সালে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছিলেন। তার ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই কোভিড-১৯ মহামারী শুরু হয়। কোভিড-১৯ শ্রীলঙ্কার পর্যটন খাতকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। পর্যটন শ্রীলঙ্কার একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত। কোভিডের ফলে পর্যটন খাতের রাজস্ব ২০১৯ সালের ৭.৫ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০২০ সালে ২.৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। কোভিড মহামারী এবং লকডাউনের কারণে অনেক কর্মজীবী মানুষ, বিশেষ করে অনানুষ্ঠানিক এবং সেবা খাতে নিয়োজিত লোকজন অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কৃষি খাত সেবা খাতের তুলনায় অনেক কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই পর্যটন এবং অন্যান্য অনানুষ্ঠানিক খাতের অনেক শ্রমিক তাদের চাকরি হারিয়ে জীবিকা নির্বাহের জন্য কৃষি কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ার জন্য গ্রামে চলে যায়। কিন্তু শ্রীলঙ্কা সরকার ঠিক এই সময়ে শতভাগ অর্গানিক কৃষি চালু করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং অজৈব সার এবং কীটনাশক ওষুধ আমদানির ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। অজৈব সার ও কীটনাশকের বিকল্প উৎস সরবরাহ না করে অজৈব সার এবং কৃত্রিম কীটনাশকের ওপর নিষেধাজ্ঞা শ্রীলঙ্কার কৃষিকে খুব মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। চাল শ্রীলঙ্কার একটি প্রধান খাদ্য এবং চা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনকারী পণ্য। এই অর্গানিক কৃষিনীতির ফলে, চাল, চাসহ সবজি, ফল ও অন্যান্য ফসলের উৎপাদন দারুণভাবে হ্রাস পায়। এর ফলে খাদ্যশস্যের দাম বেড়ে যায় এবং দরিদ্র জনগণ খাদ্যনিরাপত্তার মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়ে। চাল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পরও খাদ্যোৎপাদনের ঘাটতির কারণে শ্রীলঙ্কাকে বিভিন্ন দেশ থেকে খাদ্য আমদানি করতে হয়। যদিও, সার ও কীটনাশক নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য ছিল আমদানি ব্যয় হ্রাস করা; কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে।

নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সরকার ২০১৯ সালে আরো একটি উদ্যোগ গ্রহণ করে। সরকার আয়কর এবং মূল্য সংযোজন কর হ্রাস করে। যদিও এ পদক্ষেপের উদ্দেশ্য ছিল অর্থনীতিকে উজ্জীবিত করা, মহামারীর সময়ে যখন সামাজিক কল্যাণের জন্য সরকারের ব্যয় অনেক বেড়ে যায়, সেই সময়ে কর হার হ্রাস করায় সরকারের রাজস্ব আয় দারুণভাবে কমে যায়। এর ফলে সরকারের রাজস্ব ঘাটতি আরো বেড়ে যায় এবং দেশের আর্থিক অবস্থা নাজুক হয়ে পড়ে।

শুধু তাই নয়, বর্তমান রাজনৈতিক সঙ্কটের আগ পর্যন্ত রাজাপাকসে পরিবারের পাঁচ সদস্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ গোতাবায়ার মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পালন করেছেন। সরকারের মধ্যে পারিবারিক আধিপত্যের কারণে সরকারের নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে স্বাধীন মতামত প্রকাশ এবং ভিন্নমত পোষণের সুযোগ সীমিত হয়ে আসে। পারিবারিক সিদ্ধান্তই অনেক ক্ষেত্রে সরকারি সিদ্ধান্তে পরিণত হয়, যা পরবর্তীকালে বিরাট অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সঙ্কটের জন্ম দেয়। মোটা দাগে যদি বলতে যাই, তাহলে বলতে হবে- শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক দেউলিয়াত্বের জন্য মূলত দায়ী রাজাপাকসে পরিবারের ‘পারিবারিক একনায়কত্ব’ কায়েম। কারণ কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রে সরকারি সিদ্ধান্ত ও নীতিমালা এক বা দুই ব্যক্তির মন মর্জির ওপর নির্ভর করে। অন্য দিকে একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের ক্ষমতা সরকারের বিভিন্ন স্তরে বণ্টন করা হয় এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন স্তরের ক্ষমতা বরাদ্দ করা হয় ও সরকারি সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট সবার অংশগ্রহণের ভিত্তিতে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নেয়া হয়।

শ্রীলঙ্কার মতো বাংলাদেশও বৈদেশিক ঋণের ওপর ভর করে কর্ণফুলী টানেল, মেট্রোরেল, ঢাকার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র, রামপাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা সমুদ্রবন্দর, গভীর সমুদ্রবন্দর, এলএনজি টার্মিনাল ইত্যাদি মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের স্থিতি বা পরিমাণ চার হাজার ৯৪৫ কোটি ৮০ লাখ (৪৯.৪৫ বিলিয়ন) ডলার। পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৩ লাখ। এই হিসাবে মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ হয় ২৯২ দশমিক ১১ ডলার। পদ্মা সেতু নিজ অর্থায়নে হচ্ছে বলা হলেও বিভিন্ন ইস্যুতে জনগণের কাছ থেকে উচ্চ হারে টাকা কর্তন করে নেয়া হচ্ছে যার কারণে সব ধরনের পণ্যের মূল্য কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়াও সেবা খাতের যেমন- গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ইত্যাদির দাম কয়েক দিন পরপরই বাড়ানো হচ্ছে, যা মানুষের সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে।

অপরিণামদর্শী নীতি, পরিকল্পনাহীন মেগা প্রজেক্ট, ব্যাপক দুর্নীতির বিস্তার, জবাবহীন সংসদ, জনসম্পৃক্ততাহীন সরকার ইত্যাদি নানাবিধ কারণে যদি কোনো সমস্যা নেমে আসে, ১৮ কোটি মানুষের এই দেশের ভয়াবহ পরিণতি আন্দাজ করাও কষ্ট হবে। আমাদের দেশের সরকার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আগেই বলে ফেলছেন, বাংলাদেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো হবে না। যুক্তি হিসেবে তারা বলছেন, বাংলাদেশে খাদ্য উৎপাদনে ঘাটতি নেই। দেশের প্রধান খাদ্য আমদানিনির্ভর নয়। বাংলাদেশের রেমিট্যান্সের পরিমাণ এবং রফতানি আয় দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৪.৪০ বিলিয়ন ডলার। যারা এই সমস্ত যুক্তি দাঁড় করাচ্ছেন, তাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, শ্রীলঙ্কার মাথাপিছু আয় বাংলাদেশের থেকেও বেশি ছিল। তা ছাড়া তারা খাদ্যেও স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিল কিন্তু তাদের এই পরিণতির জন্য দায়ী অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং শাসকের একনায়কতান্ত্রিকতা। বাংলাদেশে ব্যক্তি মাত্রই হাজার কোটি টাকার নিচে দুর্নীতির চিহ্ন নেই। জনগণের কাছে জবাবহীন সরকারব্যবস্থা ইত্যাদি নানাবিধ কারণে শঙ্কা থেকেই যায় ‘লঙ্কান ভূত বাংলাদেশে আছর করবে না তো?’

[email protected]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *