বেলা তখন দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যার পথে। ঘড়ির কাঁটা পাঁচটা ছু্ঁই ছুঁই করে৷ সাংবাদিকরা অপেক্ষায় আগ্রহভরে, গোটা দেশ চেয়ে আছে মিরপুরে। রুদ্ধশ্বাস মিটিং চলছে ভেতরে একাধারে। নানা সিদ্ধান্ত আসতে চলেছে, সব থেকে বড় প্রশ্ন- সাদা পোশাকের নেতৃত্বের ভার উঠছে কার শিরে?
সাকিব আল হবেন, সাকিব আল হাসান হবেন না? তামিম ইকবাল ফিরবেন, মিরাজ কেন নয়? লিটন পারবেন তো! সপ্তাহখানেক ধরে এমনই নানা প্রশ্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে। যেন এই বুঝি প্রেমিকার লাল গোলাপ এলো বলে…
গুঞ্জনটা আগেই উঠেছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে আবার রটেছিল- সাকিব আল হাসানই দায়িত্ব নিলো। কিন্তু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়া উপলক্ষ কি যায় পাওয়া? তাছাড়া যে ধোঁয়া উড়ছে, তা কি সত্যিই আগুন থেকে লেগেছে, তা নিশ্চিত হবারও প্রয়োজন আছে। তবে ভয় লাগিয়ে দিয়েছিল মনে, একের পর এক সিদ্ধান্ত বলতে গিয়ে ‘টেস্ট অধিনায়ক’ ইস্যুটা পড়ে যাচ্ছিল আড়ালে!
অবশেষে বিসিবি বসের কণ্ঠে- ‘সাকিব আমাদের টেস্ট অধিনায়ক, সহ-অধিনায়কের আস্থা লিটন দাসে।’ আর তাতেই অপেক্ষার অবসান, কাপ্তান মুমিনুল অধ্যায় এখন শুধুই পরিসংখ্যান। ক্রিকেট ঐতিহ্যের ধারক-বাহক টেস্ট ক্রিকেটের লাল-সবুজ রাজত্বে পুরনো রাজা আসছে ফিরে। অধিনায়কত্ব উঠেছে সাকিবের শিরে।
আর তাতেই এক কাকতাল। এবারসহ মোট তিনবার সাকিবের হাতে উঠেছে টেস্ট ক্রিকেটের দায়িত্ব। আর তিনবারই প্রথম প্রতিপক্ষ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যদিও প্রথমবার অধিনায়কত্বটা উঠেছিলো হঠাৎ করে। মাশরাফি বিন মর্তুজার ইঞ্জুরিতে দায়িত্ব অর্পিত হয়েছিল সাকিবের কাঁধে।
অধিনায়ক হিসেবে সাকিব টেস্টে ১৪ ম্যাচ নেতৃত্ব দিয়ে জিতেছেন তিন ম্যাচে। আর তিনটি জয়ই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। আর ব্যাট হাতে ৩৬ গড়ে করেছেন ৯১৮ রান, আর বল হাতে নিয়েছেন ৬১ উইকেট। যাহোক, এবারের দৌড়টা নিশ্চয়ই অনেক দূর হবে…