বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান। বলেছেন, তার বাংলাদেশ সফরকালে যেসব রিক্রুটিং এজেন্সি বিক্ষোভ করবে, তাদের নিষিদ্ধ করা হবে। বুধবার (১ জুন) বাংলাদেশ সফর শুরুর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারি দেন মালয়েশিয়ার এ মন্ত্রী।
গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর জনশক্তি রফতানির জন্য বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া চুক্তি স্বাক্ষর করে। তবে মালয়শিয়ার পক্ষ থেকে জনশক্তি রফতানিতে সুনির্দিষ্ট কিছু এজেন্সির নাম প্রস্তাব করা হয়। এতেই বাঁধে বিপত্তি।
রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো মনে করছে, সুনির্দিষ্ট কিছু এজেন্সির মাধ্যমে কাজ করা হলে শ্রমিক প্রতি খরচ দাঁড়াবে সাড়ে ৪ লাখ টাকা। কারণ ওই এজেন্সিগুলোকে জনপ্রতি ১ লাখ ২০ হাজার টাকা বাড়তি দিতে হবে।
মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রীর ঢাকা সফরকালে প্রায় দুই হাজার রিক্রুটিং এজেন্সি রাজধানীতে বিক্ষোভের হুঁশিয়ারি দেয়। তাদের দাবি, জনশক্তি রফতানি সুনির্দিষ্ট কিছু এজেন্সির জন্য না করে, সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।
এ বিষয়ে এম সারাভানান বলেন, আমার ঢাকা সফরকে কেন্দ্র করে কিছু এজেন্সি বিক্ষোভ প্রদর্শনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। আমি এটা নিয়ে মোটেই ভীত নই। কারণ রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো যত বেশি হুমকি দেবে, ততো বেশি নিষিদ্ধ হবে।
এদিকে খবরে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী সারাভানানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ইতোমধ্যে ঢাকায় পৌছেছেন। বৃহস্পতিবার (২ জুন) বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি দলের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
খবরে আরও বলা হয়েছে, বৈঠকে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রীর প্রস্তাবিত সীমিত সংখ্যক রিক্রুটিং এজেন্সির সাথে প্রায় ২৫০টি এজেন্সি যুক্ত হলে কর্মী প্রেরণের সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে।
প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, উভয় দেশের সম্মতিক্রমে রফতানি শুরু হলে এবার মালয়েশিয়ায় প্রায় ৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মী যেতে পারবে। বর্তমানে দেশটিতে প্রায় ছয় লাখ বাংলাদেশি কর্মী কাজ করছে।
মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানি চালু না হওয়ায় বহু নিয়োগকারী কোম্পানি চাহিদাপত্র ইস্যু করেও কর্মী নিতে পারছে না। ইতোমধ্যে নেপাল থেকে প্রচুর সংখ্যায় কর্মী যাওয়া শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে না পারলে নিয়োগকর্তারা নিরুপায় হয়ে নেপাল থেকে একচেটিয়া অভিবাসী কর্মী নেয়ার পথ খুঁজবে।