বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী পলাতক জোবায়দা রহমানের মামলা শুনে হাইকোর্ট সংবিধান লঙ্ঘন করেছে বলে জানিয়েছেন আপিল বিভাগ। পাশাপাশি হাইকোর্টের দেয়া আট সপ্তাহের মধ্যে জোবায়দার আত্মসমর্পণের আদেশ বাতিল করা হয়।
বুধবার (০১ জুন) জোবায়দার দুর্নীতি মামলার ১৬ পাতার রায় প্রকাশ করেন আপিল বিভাগ। ২০০৮ সালে আদালতে আত্মসমর্পণ না করে কিভাবে হাইকোর্ট এ মামলা শুনলেন তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করা হয়।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ বলেন, শত বছরের নজির ভেঙে জোবায়দার মামলা গ্রহণ করেছে হাইকোর্ট, যা অবৈধ এবং সংবিধান লঙ্ঘন।
পলাতক আসামি দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টে কোনো আবেদন করতে পারবে না বলে উল্লেখ করেন আপিল বিভাগ। রায়ে বলা হয়েছে, পলাতক আসামির মামলা শুনে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে আইন বহির্ভূতভাবে জোবায়দাকে দেয়া হয়েছে অতিরিক্ত সুবিধা।
দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, জোবায়দা রহমান আত্মসমর্পণ করেননি। কিন্তু তাকে অতিরিক্ত সুবিধা দিয়ে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটিয়েছেন হাইকোর্ট। তাই আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বাতিল করেছেন।
২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দার বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুদক। একই বছরে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী আলাদা রিট আবেদন করেন। রিটে জরুরি আইন ও মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন তারা।
হাইকোর্ট রুল জারি করে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। দুর্নীতি মামলা চলবে বলে গত ১৩ এপ্রিল রায় দেন আপিল বিভাগ। বুধবার যা লিখিত আকারে প্রকাশিত হয়।