খোলা বাজার থেকে চাল কিনে তা প্যাকেটজাত করে বিক্রি করা যাবে না বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। এ সময় দেশের বাজারে চালের আকস্মিক মূল্যবৃদ্ধির জন্য ছয়টি বৃহৎ শিল্পগ্রুপকে দায়ী করেন তিনি।
বুধবার (১ জুন) সচিবালয়ে চালের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমরা চিন্তা করছি যে এই সার্কুলার জারি করা যায় কি না যারা প্যাকেট করে চাল বিক্রি করবে তারা দেশের বাজার থেকে কিনতে পারবে না। তারা ৬৭ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে আমদানি করে প্যাকেট করবে। এটা আলোচনা চলছে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটা এখনো ফাইনাল হয়নি। তাদের যদি নিজস্ব মিল থাকে তারা সেখানে প্যাকেট করতে পারবে। কিন্তু বাজার থেকে চাল সংগ্রহ করে প্যাকেট করতে দেব না। এটা বিভিন্ন জায়গায় আমাদের ম্যাসেজটা, যেখানে তারা প্যাকেট করে সেখানে দেয়া হয়েছে। এরা ছাড়া তো কেউ প্যাকেট করে না। খুচরা কিনে তারা প্যাকেট করতে পারবে না। মিল মালিকরা নিজস্ব প্রডাকশন বিক্রি করতে পারবে।’
তিনি বলেন, নিজস্ব মিল থাকলেও সে তার লাইসেন্সে যে মজুদের বিধান আছে তার বাইরে মজুদ করতে পারবে না। মিলের যে পাক্ষিক ছাটাই ক্ষমতা তার তিনগুণ সে মজুদ করতে পারবে। এটা হলো রোলিং। এর বাইরে থাকলে সেটা অবৈধ মজুদ।
সরকারকে করপোরেট ফাঁদে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন খাদ্যমন্ত্রী। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘সরকার কোনো ফাঁদে পড়েনি। ফাঁদে ফেলতে চেষ্টা করছিল আমরা রিকভার করছি।’
এর আগে চালের দাম ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা এবং সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সোমবার চাল মজুতকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কেউ অবৈধভাবে চাল মজুত করলে ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
অভিযোগ আছে, মিলাররা ধান-চাল মজুত রাখছেন। একইভাবে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোও মেমোরেন্ডাম অ্যাসোসিয়েশনের নীতি অনুমোদনের বাইরে গিয়ে ধান-চালের ব্যবসায় নেমেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে খাদ্য অধিদফতর।
ধারাবাহিকভাবে চালের অবৈধ মজুদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার কথা জানান খাদ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক চালের বাজারে, আড়তে এবং মিলে এমনকি গ্রামাঞ্চলেও কৃষক ছাড়া কেউ যদি ধান কিনে মজুদ রাখে সেখানেও অভিযান চালানো হচ্ছে। এটা ধারাবাহিকভাবে চলবে।
সূত্র : ইউএনবি