গত কয়েক মাসে দফায় দফায় গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন চাঁদপুরের খামারিরা।
ব্যবসায়ীদের দাবি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সরবরাহ কমেছে কাঁচামালের। ব্যাংকঋণ নিয়ে ব্যবসায় ক্ষতির মুখে তারা। এমন পরিস্থিতিতে এই খাতকে বাঁচাতে বিকল্প খাদ্যের কথা বলছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
সামনে কোরবানির ঈদ। এরই মধ্যে দফায় দফায় বৃদ্ধি পেয়েছে গো-খাদ্যের দাম। এতে বেকায়দায় পড়েছেন চাঁদপুরের খামারিরা। জেলায় অনেক খামারেই দানাদার খাবারের পরিবর্তে ঘাস জাতীয় খাবার দেয়া হচ্ছে গবাদিপশুকে। যে কারণে গবাদিপশু লালন পালন করতে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দিশেহারা খামারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
খামারিরা দাবি জানিয়েছেন, আগামী বাজেটে এই খাতে ভর্তুকি দিয়ে খাতটিকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকার যেন সর্বাত্মক সহযোগিতা করে।
গো-খাদ্য ব্যবসায়ীদের দাবি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাজারে সরবরাহ কমেছে কাঁচামালের। ফলে ব্যাংকঋণ নিয়ে এ ব্যবসায় এখন ক্ষতির মুখে তারা। এই খাতকে বাঁচাতে হলে এখনই বিকল্প খাদ্যের উৎস খোঁজার কথা বলছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা।
প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মুকবুল হোসেন বলেন, বিদেশি খাবারের ওপরে নির্ভরশীলতা কমিয়ে, দেশে উন্নত জাতের ঘাসের আবাদ বাড়াতে হবে। এতে দেশীয় খাবারেই গবাদিপশুর পুষ্টির চাহিদা পূরণ করা যাবে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের হিসাব মতে, চাঁদপুরে গবাদিপশুর খামারের সংখ্যা ২ হাজার ৬৩৪টি। আর এতে লালনপালন হচ্ছে গরু-ছাগল ও মহিষ সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ হাজার পশু।