সবচেয়ে বেশি বিপাকে দেশটির অটো রিকশা চালকেরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা গ্যাসের জন্য ষ্টেশনে দাঁড়িয়ে থেকেও গ্যাস না মেলায় জীবিকা নির্বাহের একমাত্র অটো রিক্সাটিকে নিয়ে বিপাকে তারা।
১৪ বছর বয়সে বাবা মারা যায় সিনহালার। আর তখন থেকেই বাবার দেয়া টমটমটিকে নিয়ে শুরু হয় তার জীবন যুদ্ধ। এক সময় বিয়ে হলেও স্বামীও তাকে ছেড়ে চলে যায়। এরপর মেয়েকে নিয়ে ভালোই কাটছিল সিনহালের জীবন। নিজেই অটো রিক্সাটি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।
তবে বিপত্তি বাধে শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক সংকটের পর থেকে। দেশটির রিজার্ভে বৈদেশিক মুদ্রা না থাকায় জ্বালানি তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে পারছে না দেশটি। জ্বালানি তেলের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে দেশটির অধিকাংশ পেট্রোল ও গ্যাস স্টেশন। যে কারণে বন্ধ গাড়ি চলাচলও। জীবিকা নির্বাহের একমাত্র পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সিনহালার মতো দ্বীপ রাষ্ট্রটির হাজার হাজার চালক।
সিনহালা নামের একজন বলেন, আমি একজন নারী হয়েও জিবিকা নির্বাহের জন্য অটো রিক্সা চলানো কে বেছে নিয়ছিলাম। কারণ বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমি এটা করে আসছি। তবে চলমান এ সংকটে প্রায় বন্ধের পথে আমার কাজ। এরপর কি ভাবে কি করবো কিছুই মাথায় আসছে না।
সিনহালার মতো আরেক নারী অটো রিক্সা চালক দীপ্তি। অর্থনৈতিক সংকট আসার আগে প্রতিমাসে তার আয় ৩০ হাজার রুপি থাকলেও জ্বালানি সংকটের কারণে তা অর্ধেকেরও নিচে নেমে এসেছে। নিত্য প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে তাকে।