পৃথিবীর সকল মানুষ জীবনের কোন না কোন পর্যায়ে একা বোধ করেন। এটি এক ধরনের অনুভূতি। নানা ধরনের পারিপার্শ্বিক কারণে একজন মানুষের জীবনে একাকিত্ব, নিঃসঙ্গতা আসতে পারে। তবে সেটি দীর্ঘমেয়াদী হলে তখনই তা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কাজেই সমস্যার হাত থেকে বাঁচতে এমন কিছু উপায় মেনে চলুন যা আপনার একাকিত্ব দূর করতে সাহায্য করবে।
১. কারণ খুঁজে বের করুন
সমাধানের আগে সমস্যাটি খুঁজে বের করুন। কারণ, বের করার পর সম্ভাব্য সমাধানগুলো ভাবুন। আসলে সমাধানের আগে সবার আগে একাকিত্বের মূল কারণটি খুঁজে বের করা খুব জরুরি।
২. সৃজনশীল কাজ করুন
শোককে শক্তিতে পরিণত করুন। আবেগকে বয়ে যেতে দিন সৃজনশীল কাজের ভেতর দিয়ে। ছবি আঁকুন, গান করুন, নাচতে ইচ্ছে হলে নাচুন। যে কাজটি আপনাকে নতুন করে সৃষ্টি করবে বা সৃষ্টির আনন্দ পাবেন সে কাজটি করুন।
৩. নিজের সঙ্গেও প্রেম করুন
আপনিই হয়ে ওঠুন আপনার সবচেয়ে প্রিয় সঙ্গী। নিজের সঙ্গেও প্রেম করুন। একা একা বেড়াতে যান। হতে পারে কোনো রেস্টুরেন্টে বসে কিছু খেলেন বা কোনো পছন্দের জিনিস নিজেকে উপহার দিলেন। সর্বোপরি নিজের সঙ্গে সময় কাটান। দেখবেন, অনেক ধোঁয়াশা পরিষ্কার হয়ে গেছে। হালকা লাগছে নিজেকে।
৪. অন্যকে সাহায্য করুন
আশপাশের দিকে তাকান। দেখবেন, আপনার চেয়ে কেউ না কেউ খুব দুঃখী রয়েছে। এর মধ্যেও শ্বাস নিচ্ছে তারা। এ ভাবনাটি ভাবলেও কিন্তু কষ্ট কিছুটা হালকা হয়। একাকিত্ব কাটানোর আরেকটি অন্যতম উপায় হলো- অন্যকে সাহায্য করা। দেখবেন, অন্যকে উপকার করলে নিজের ভেতরেও অনেক শান্তি তৈরি হয়।
৫. প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটান
মনের আরোগ্য পেতে প্রকৃতির মতো বড় ওষুধ আর নেই। আর তাই প্রকৃতির কাছে যান। সমুদ্র, পাহাড় বা ধারের কাছের কোনো পার্ক যেকোনো জায়গায় ঘুরে আসতে পারেন। এটি আপনাকে একাকিত্ব দূর করতে কাজ করবে।
৬. পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন
সেসব বন্ধুদের কাছে যান, যারা আসলেই আপনার জন্য সহযোগী, আপনার প্রাণের বন্ধু। প্রয়োজনে তাদের সাহায্য চান আপনাকে এই যন্ত্রণা থেকে বের করে আনতে।
৭. গান শুনুন
প্রকৃতি যেমন মানুষকে আরোগ্য করে, তেমনি সঙ্গীতও মানুষকে শান্তি দেয়, মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। তাই পছন্দের গান শুনুন বা শিথিল করে এমন সঙ্গীত শুনতে পারেন।