রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে সরাসরি আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন ফ্রান্স ও জার্মানির শীর্ষ নেতারা। যুদ্ধ বন্ধে দুই প্রেসিডেন্টকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান তারা।
শনিবার (২৮ মে) বিবিসির খবরে বলা হয়, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলজ ফোনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা কথা বলেছেন। তারা শিগগিরই যুদ্ধবিরতি ও রুশ সেনাপ্রত্যাহারের ওপর জোর দিয়েছেন।
ক্রেমলিনের জানায়, ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, কিয়েভের সঙ্গে পুনরায় আলোচনার জন্য রাজি মস্কো। তবে জেলেনস্কির সঙ্গে সরাসরি আলোচনার বিষয়ে কোনো কথা উল্লেখ করেনি পুতিন।
দনবাসে হামলা জোরদার রাশিয়ার
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর তিন মাস পেরিয়ে গেছে। বর্তমানে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল দনবাস পুরোপুরি দখলের দিকে মনোনিবেশ করছে রুশ সেনারা। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী অধ্যুষিত স্বঘোষিত প্রজাতন্ত্র লুহানস্ক অঞ্চলে রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর বোমা হামলার অভিযোগ এনেছেন সেখানকার আঞ্চলিক প্রধান। তিনি বলেন, সিভিরোদোনেৎস্কে ১৫ হাজার বেসামরিক লোক আশ্রয় শিবিরে ঠাঁই নিয়েছেন। গত শুক্রবার লুহানস্কের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়ার কাছাকাছি যাওয়ার দাবি করেছিলেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু।
এ ছাড়া দনবাস অঞ্চলের আরেক শহর লিমানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রুশ বাহিনী।
ব্যর্থ শান্তি আলোচনা
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর শান্তি ফিরিয়ে আনতে দুই দেশের প্রতিনিধিরা একাধিক দফা আলোচনায় বসেছিল। তবে সেই আলোচনা সব ভেস্তে গেছে। আলোচনা ফলপ্রসু না হওয়ায় ২৯ মার্চের পর উভয় পক্ষের আর কোনো বৈঠক হয়নি।
উদ্ভূত পরিস্থিতির ব্যাপারে ইউক্রেনে পশ্চিমাদের অস্ত্র সরবরাহের ব্যাপারে সতর্কবার্তা উচ্চরণ করেছেন পুতিন।
খাদ্য সংকটে বিশ্ব
চলতি মাসের শুরুর দিকে বিশ্ব খাদ্য সংস্থা রাশিয়ার প্রতি কৃষ্ণ সাগরের বন্দরগুলো খুলে দেওয়ার আহ্বান জানায় যেন ইউক্রেনের খাদ্যপণ্য সংকটে থাকা বিভিন্ন দেশ যেমন আফগানিস্তান, ইথিওপিয়া, দক্ষিণ সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেনে সরবরাহ করতে বিঘ্ন না ঘটে।
শলৎসের মতে, পুতিন যুদ্ধ শুরু করায় খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। তবে এই সংকটের জন্য যে দেশগুলো ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে তাদেরকে দায়ী করছেন পুতিন।